ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আগরতলা

উত্তরপূর্ব ভারতে এগিয়ে মোদীর বিজেপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, মে ২১, ২০১৯
উত্তরপূর্ব ভারতে এগিয়ে মোদীর বিজেপি

আগরতলা: ভারতের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সাত দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে রোববার (১৯ মে)। এখন অপেক্ষা শুধু ফলাফলের। আগামী ২৩ মে কি হয়, সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন ভারতবাসী। 

তবে ইতোমধ্যে সামনে এসেছে বুথগুলোর জরিপের ফল। এ জরিপ বলছে, মোদীর নেতৃত্বাধীন বিজেপিই আবার ক্ষমতায় আসছে।

 

উত্তরপূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য থেকে লোকসভায় মোট ২৪ জন সাংসদ রয়েছেন। এর মধ্যে আসাম রাজ্য থেকে ১৪ জন, অরুনাচল প্রদেশ থেকে দুইজন, ত্রিপুরা রাজ্য থেকে দুইজন, মনিপুর থেকে দুইজন, মেঘালয় থেকে দুইজন, নাগাল্যান্ড ও মিজোরাম রাজ্য থেকে একজন করে সাংসদ রয়েছেন।

দেশের মূল ভূখণ্ডের তুলনায় অনেকটা পিছিয়ে পড়া উত্তরপূর্ব ভারতের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। সারা দেশের সঙ্গে যোগাযোগ, অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ আরও বেশ কিছু ক্ষেত্রে। বিজেপির নেতৃত্বাধীন প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেইও উত্তরপূর্বাঞ্চলকে উন্নয়নের আলো দেখানোর জন্য ‘লুক ইস্ট’ নীতি অনুসরণ করেছিলেন। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই নীতিকে আরও এক কদম বাড়িয়ে গতি আনার জন্য ‘লুক ইস্ট’ নীতিকে ‘এক্ট ইস্ট’ নীতিতে পরিণত করেন।  

ফলে বিজেপি দেশটির এই অংশে অনেক জনপ্রিয়তা পায়। এই অংশের ছোট ছোট আঞ্চলিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে গঠন করে নর্থইস্ট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (নেডা)। এতে করে আসাম, ত্রিপুরা, মনিপুর, অরুনাচল প্রদেশ ও মেঘালয় রাজ্যের ক্ষমতা বিজেপির নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এ রাজ্যেগুলোতে তারা আঞ্চলিক দলের সঙ্গে জোট করলেও বিজেপির হাতেই থাকে রাজ্যগুলোর চালিকা শক্তি। তাই বিজেপি নেতাদের দাবি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিই উত্তরপূর্বের সিংহভাগ আসন লাভ করবে।  

উত্তরপূর্ব ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষক ও সাংবাদিক রূপায়ন দাসের মতে, আসাম রাজ্যের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১০টি আসনেই বিজেপি জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। বাকি চারটি আসনের মধ্যে তিনটি আসন পেতে পারে কংগ্রেস ও একটি আসন আঞ্চলিক দল বিপিএফ। যদি বিজেপি ১০টি আসনের কম পায়, তবে একটি আসন আরও এক আঞ্চলিক দল এআইডিইউএফ পেতে পারে। তবে এ সম্ভাবনা ক্ষীণ।  

অন্যদিকে অরুনাচল প্রদেশের দু’টি আসনের মধ্যে দু’টিই বিজেপির দখলে চলে যেতে পারে। এর ব্যতিক্রম হলে একটি আসন কংগ্রেস দলের দখলে যেতে পারে।

মেঘালয় রাজ্যের দু’টি আসনের মধ্যে একটি আসন আঞ্চলিক দল এমপিপি ও অপর আসনটি কংগ্রেসের দখলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তবে ত্রিপুরা রাজ্যের দু’টি আসনই বিজেপির দখলে যাওয়ার সম্ভবনা প্রবল।

মনিপুর রাজ্যের দু’টি আসনের মধ্যে- একটি আসন এনপিএফ দল পাবে। আর অপর আসনটি হয় বিজেপি না হলে সিপিআই পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মিজোরাম রাজ্যের একমাত্র আসনটি এমএনএফ দল পাবে বলে প্রায় নিশ্চিত।

সব শেষে নাগাল্যান্ড রাজ্য। এই রাজ্যেও একমাত্র আসনটি এনডিপিপির দখলে যাবে বলে প্রায় নিশ্চিত।  

এই রাজ্যগুলোতে জাতীয় দলের চেয়ে আঞ্চলিক দলের প্রতি মানুষের আবেগ বেশি কাজ করে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত। তাই এখানে আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিরাই জয়ী হন।

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ভোটের অনেক আগেই দাবি করেছেন যে, উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলো থেকে তারা ২০টির বেশি আসন পাবেন। তবে কি সমীকরণের ভিত্তিতে তারা এই দাবি করেছেন, তা বলেননি। তারা শুধু বলেছে, সারা ভারতের সঙ্গে উত্তরপূর্বাঞ্চলবাসীও বিজেপিকে চায়। তাদের এই দাবির সঙ্গে বাস্তবের কতটুকু মিল থাকে তা দেখতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে ২৩মে পর্যন্ত।

অবশ্য বিভিন্ন সংস্থার বুথ ফেরত জরিপও এই তথ্য দিচ্ছে। এক দু’টি ক্ষেত্রে সিটের এদিক-ওদিক হতে পারে। তবে নিট ফল এমন হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৮০৫ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৯
এসসিএন/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।