শরতের তাপমাত্রার পারদ বর্ষাকালের তুলনায় নিম্নগামী হয় আর এই তাপমাত্রা তারতম্যের কারণে সকাল-সন্ধ্যা হালকা শীতল অনুভূতি হওয়ার কথা। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে আগরতলা শহরে এখনো তাপমাত্রার পারদ ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (সেন্টিগ্রেড) আশ-পাশে ঘোরাফেরা করছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া পূর্বাভাস জানাচ্ছে, আগামী শুক্রবার (৩০ আগস্ট) পর্যন্ত রাজ্যে মেঘ বৃষ্টির লুকোচুরি চলবে। একইসঙ্গে অব্যাহত থাকবে গরমের কামড়। রোববার (২৫ আগস্ট) দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আপেক্ষিক আদ্রতার পরিমাণ ছিল ৫৯ শতাংশ।
শরতের গরমে আগরতলার শহরের পথচারীদের ভরসা এখন ডাবের পানি, আইসক্রিমসহ বোতলবন্দি ঠাণ্ডা পানীয়। আগরতলায় অলিগতিতে বিক্রি হওয়া ডাবের মূল্য এখন অনেকটাই বেশি। একটি ডাব কিনতে পথচারীদের গুনতে হচ্ছে ৪০ রুপি।
এই অসময়ে ডাবের মূল্য এত বেশি কেন? জানতে চাইলে সিটি সেন্টার এলাকায় নিত্যানন্দ দাস নামে এক ডাববিক্রেতা বলেন, দাম বেশি অইবোনা না ক্যারে (কেন), যে গরম পড়ছে।
পাশে দাঁড়িয়ে ডাবের পানি পান করছিলেন প্রবীর দেববর্মা নামে এক ব্যক্তি। ডাববিক্রেতার সঙ্গে কথোপকথন শুনে তিনি বললেন যা অসহ্য গরম পড়েছে, পথচারীরা ডাব না খেয়ে যাবে কোথায়? আর এই সুযোগে বাড়তি দাম নিচ্ছেন ডাববিক্রেতারা।
এই ঋতুতে তীব্র গরম তারমধ্যে চলছে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডসেডিং। এতে মানুষের দুর্ভোগ আরও চরমে। সবমিলিয়ে শারদীয় গরমে নাজেহাল ত্রিপুরাবাসী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এসসিএন/এএটি