রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) তিনি সাংবাদিকদের জানান, কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণসহ বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
এ সব প্রকল্পের আওতায় ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর শহরে এবং গোমতী জেলার জেলা সদর উদয়পুরে একটি করে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় স্থাপন করা হবে।
এছাড়া বিপ্লব কুমার দেব ত্রিপুরা রাজ্য রাইফেলস বাহিনী-টিএসআর’র দু’টি ব্যাটালিয়ান ভারত সরকার নিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করেছে। এমনটা হলে ত্রিপুরার আরও দু’টি নতুন ব্যাটালিয়ান তৈরি করা যাবে। এতে আরও অনেক যুবকের কর্মসংস্থান হবে। তার আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিল্লি পুলিশের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে টিএসআর'র ব্যাটালিয়ান অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে দপ্তরটি।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ত্রিপুরার বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকারের অন্যতম চুক্তি রাজ্যের নিম্নশ্রেণির মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা। এ জন্য ত্রিপুরা সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে একটি আর্থিক প্যাকেজের আবেদন পাঠানো হয়েছিল। এ বিষয়টি তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে আবারো মনে করিয়ে দিয়েছেন। তাই এ বিষয়ে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ত্রিপুরার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হবে।
এদিকে, উত্তর-পূর্ব উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ত্রিপুরার পশ্চিম জেলা সূর্যমনি নগর এলাকায় একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার গ্রিড স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন। এই পাওয়ার গ্রিড স্থাপনের জন্য ত্রিপুরা সরকার ১৬১ কোটি রুপি চেয়েছিল, মন্ত্রণালয় দিয়েছে দেড়শো কোটি রুপি।
এছাড়াও সাবেক সরকারের আমলে ত্রিপুরা রাজ্যের দু’টি সাংবাদিক হত্যাকাণ্ড, রোজভ্যালি চিটফান্ড কেলেঙ্কারিসহ মোট ৭৪টি মামলার তদন্তের ভার ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে দিয়েছে ত্রিপুরা সরকার।
উল্লেখ্য, তিনদিনের সফর শেষে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আগরতলায় ফেরেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
এসসিএন/আরআইএস/