গোটা বিশ্বের সঙ্গে ত্রিপুরা রাজ্য জুড়েও পালিত হয় বড়দিন উৎসব। তাই এখন রাজধানী আগরতলার বিভিন্ন বাজারে বড়দিনের কেনাকাটার ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
রাজধানীর বটতলা, আর এম এস, পুরাতন মোটর স্টেন্ড, শকুন্তা রোড, লেক চৌমুহনীসহ অন্যান্য এলাকায় বড়দিনের সামগ্রী যেমন স্টার, ক্রিসমাস ট্রি, সান্তা ক্লজের টুপি, মুখোশ, বেল, ব্যাগ, বড়দিন লেখা ব্যানার, ছোট বড় রঙ-বেরঙের উপহার কিনতে ব্যস্ত মানুষ।
রাজধানীর শকুন্তলা এলাকায় গিয়ে দেখা গেলো কচিকাঁচা থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষের ভির জমে আছে। ক্রেতারা নিজ নিজ পছন্দ মতো সামগ্রী কিনতে ব্যস্ত। সিপাহীজলা জেলার বিশাগড় এলাকা থেকে এসেছেন কুহলী দেব বর্মা। তিনি বাংলানিউজকে জানান, বড়দিনের সামগ্রী কেনার জন্য আগরতলায় এসেছেন। কিছু সামগ্রী কিনেছেন এবং আরো কিছু সামগ্রী কিনবেন। প্রতি বছর পরিবারের সকলে মিলে ক্যারল গান করে, কেক কেটে বড়দিন পালন করে থাকেন বলে জানান তিনি।
চন্দন দেব বর্মা নামের আরো এক ব্যক্তি জানান, বাড়ীতে ছেলে মেয়ে রয়েছে, তাদের জন্য বেলুন, স্টারসহ অন্যান্য সামগ্রী কিনতে এখানে এসেছেন। ক্রিসমাস এখন আর শুধু খ্রীষ্টান ধর্মের মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, হিন্দু ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষসহ অন্যান্য ধর্মের মানুষও এই উৎসবে সামিল হন। কৃষ্ঞা মজুমদার জানান, তার বাড়ীতে তিন বছরের একটি ছেলে রয়েছে, তার জন্মের পর থেকে প্রতিবছর তারা বড়দিন পালন করেন। বড়দিনে তারা কেক কাটেন। একটি ছোট আকারের ক্রিসমাস ট্রিসহ ঘর সাজানোর অন্যান্য সামগ্রী কিনেছেন বলে জানান তিনি।
পলাশ ভৌমিক চাকুরীর জন্য আগরতলা এসেছেন। এবছর আগরতলায় প্রথম বড়দিন পালন করবেন। রাজধানীর আর এম এস এলাকার এক ব্যবসায়ী জানান, প্রতি বছরের মতো এ বছরও বড়দিন উপলক্ষে প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। বড়দিনের ব্যবসায় তিনি খুশি। শুধু তিনি নন অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও বিক্রি দারুণ হচ্ছে বলে জানান। কেকের দোকানগুলিতেও বড়দিন উপলক্ষে নানা স্বাদের কেক তৈরি করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে আরো একটি বড়দিন পালনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে গোটা ত্রিপুরা। ২৪ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে শুরু হবে এই পার্টি ও উৎসব। যা চলবে ইংরেজী নববর্ষ পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৯
এসসিএন/এমআরপি