ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ মে ২০২৫, ২৪ জিলকদ ১৪৪৬

আগরতলা

স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশনে তরুণী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩১, জুন ২৫, ২০২০
স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশনে তরুণী

আগরতলা (ত্রিপুরা): স্ত্রীর মর্যাদা পেতে ত্রিপুরার উত্তর জেলার ধর্মনগর এলাকায় স্বামী কল্পজ্যোতি নাথের বাড়ির গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অনশন শুরু করেছেন এক তরুণী।

স্বপ্না নাথ নামের ওই তরুণী বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকাল থেকে প্ল্যাকার্ড হাতে ধর্মনগর থানার শিববাড়ি এলাকার বাসিন্দা কল্পজ্যোতি নাথের বাড়ির গেটের সামনে অনশন শুরু করেন।

স্বপ্না নাথের দাবি, এক বছর আগে ভারতের দক্ষিণের রাজ্য কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরু শহরে কল্পজ্যোতি নাথের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে।

সেখানে তারা দীর্ঘ এক বছর একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে সংসার করেছেন। তারা দু’জনেই বেঙ্গালুরু শহরে প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করেছেন। কল্পজ্যোতি নাথ তাকে ধর্মনগর থেকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে গিয়ে ছিল। স্বপ্নার বাড়ি ধর্মনগর থানার রাধাপুর এলাকায়।

বেঙ্গালুরু থেকে ফিরে আসার পর স্বপ্না তার বাবার বাড়ি চলে এবং কল্পজ্যোতি তার বাড়িতে যায়। তাদের মধ্যে কথা হয়েছিল বাড়ি ফেরার পর কল্পজ্যোতি স্ত্রী হিসেবে স্বপ্নাকে তার বাড়িতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু এখন কল্পজ্যোতি তাদের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করছেন। স্বপ্না তার দাবির স্বপক্ষে প্রমাণ হিসেবে তাদের দু’জনের একসঙ্গে তোলা একাধিক ছবিও প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে রেখেছে। তাই দাবি আদায়ের জন্য বাধ্য হয়ে শ্বশুর বাড়ির সামনে অনশনে বসতে হয়েছে বলেও জানান স্বপ্না নাথ।

তিনি আরও জানান, যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে কল্পজ্যোতি তাকে স্ত্রী হিসেবে মেনে না নেবেন ততক্ষণ পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন।

এ খবরে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ধর্মনগর নারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপ্রা দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল। এ বিষয়ে ওসি শিপ্রা দাস জানান, তারা উভয় পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্ত করার পরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত কল্পজ্যোতি নাথ বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। তার সঙ্গে স্বপ্নার কোনো সম্পর্ক নেই। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। অবশ্য এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি কল্পজ্যোতি নাথের পরিবারের সদস্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২০
এসসিএন/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।