শুক্রবার বাদ ফজর জর্দানের মাওলানা শায়েখ ওমর খতিবের আম বয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
তিনি আরবিতে ইমানের গুরুত্ব বিষয়ে বয়ান করেন।
বাদ জুমা বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন, বাদ আসর বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা আব্দুল বারী ও বাদ মাগরিব বয়ান করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মোহাম্মদ রবিউল হক।
আর জুমাপূর্ব বয়ান ও জুমার নামাজের ইমামতি করবেন কাকরাইলের মুরব্বি হাফেজ মাওলানা জুবায়ের।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী তাবলীগ জামাতের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীরা আখলাক, ঈমান ও আমলের ওপর বয়ান করবেন। ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) প্রথম দিন। উত্তরের হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে লাখো মুসল্লি বয়ান, তাশকিল, তাসবিহ-তাহলিলে কাটাচ্ছেন। তবে তীব্র শীতের কারণে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মুসল্লিদের প্যান্ডেলের বাইরে যেতে দেখা যায়নি। শীত বস্ত্র মুড়ি দিয়ে ইজতেমায়ী কার্যক্রমে অংশগ্রহন করেন তারা। তাবলীগ জামাতের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বীরা আরবি ও উর্দুতে বয়ান করবেন এবং মুসল্লিদের সুবিধার্থে তা বাংলা তরজমা করা হবে।
এছাড়াও এসব বয়ান ইংরেজী, ফার্সি ভাষায় তরজমা করা হবে। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি আল্লাহকে রাজি-খুশি করানোর জন্য এবং আখলাক ঠিক রাখতে বয়ান শুনবেন।
ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিরা বুধবার (১০ জানুয়ারি) থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমা ময়দানে এসে চটের তৈরি সুবিশাল ছামিয়ানার নিচে অবস্থান নেন। এবার বিদেশিসহ দেশের ১৬ জেলা থেকে আসা মুসল্লিরা অংশ নিয়েছে ইজতেমায়।
এরই মধ্যে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহণে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে পুরো ইজতেমা ময়দান। শুক্রবার জুমা’র নামাজে অংশ নিতে ভোর থেকে গাজীপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে মুসল্লিরা হেঁটে, বিভিন্ন যানবাহনে, লঞ্চ ও ট্রেনে করে ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নিয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার মুরুব্বী গিয়াস উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ। প্রথম ধাপে ইজতেমায় অংশ নিয়েছে দেশের ১৬ জেলার মুসল্লি। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে প্রথম ধাপ। ফের ১৯ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় ধাপ।
একইভাবে আখেরি মোনাজাতের মধ্যেদিয়ে ২১ জানুয়ারি শেষ হবে এবারের (২০১৮ সালের) বিশ্ব ইজতেমা- বলেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৮
আরএস/এমএইউ/জিপি