ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

বাংলা ভাষা এবং ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রক্ত দিল ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
বাংলা ভাষা এবং ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানিয়ে রক্ত দিল ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব

কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): বাংলা ভাষা দিবসকে শ্রদ্ধা এবং ভাষা শহীদদের স্মরণ করল কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে প্রতীকী শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদের শ্রদ্ধা জানান সদস্যরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রেস শাখার প্রথম সচিব রঞ্জন সেন, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য উৎপল রায়, ইন্দো-বাংলা ফর কমার্সিয়াল অ্যান্ড কালচারাল কোলাবরেশনের সাধারণ সম্পাদক সুনিত পালৌধিসহ বাংলাভাষা প্রেমী বিশিষ্টজনেরা।

এছাড়া দিবসটিতে ‘রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরও দেব’ -৭ মার্চে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক ভাষণকে উপজীব্য করে ভাষা দিবসের দিন রক্তদান করেছেন ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা। রক্ত দিল তাদের পরিবারের সদস্যরাও এতে অংশ নেন।

সদস্যদের অভিমত, মা এবং মাতৃভাষার বিকল্প হয় না। বঙ্গবন্ধু যে ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন, আমরা সেই ভাষণকেই উপজীব্য করে রক্ত দিলাম।

রক্ত গ্রহণ করে লাইফ কেয়ার নামে সংগঠন। সংগঠনটির চিকিৎসক অনুপ পাল বলেন, আমরা এত বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রক্তদান শিবির করি। শত শত মানুষ রক্তদান করেন সারা বছর। কিন্তু ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রক্তদান শিবির আমার অভিজ্ঞতায় পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম। ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাবের এই আয়োজনে বাঙালি হওয়ার আবেগ আমাকে অনেকটা বাড়িয়ে দিল। এটা একটা ‘ইউনিক আইডিয়া’। আপনারা যখনই আমাদের ডাকবেন আমাদের পাশে পাবেন।

প্রেস সচিব রঞ্জন সেন বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও তৎপরতায় ৯০ দশকের শেষ দিকে জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়। তার অভিমত বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রামের সূচনা বলা হয় এই ভাষা আন্দোলনকে।

ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে তিনি আরও বলেন এই ভাষার জন্য যারা রক্ত দিয়েছেন, জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি যেভাবে শ্রদ্ধা জানানো হলো তাতে, ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাবকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ।

ক্লাবের প্রেসিডেন্ট কিংশুক চক্রবর্তী বলেন, গত বছর ১৪ মার্চ ক্লাবের সূচনা হয়। ২৪ আগস্ট আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। এখানে সিনিয়র, জুনিয়র আমরা ভাগ করি না। আমরা সবাই কলিগ। তাই স্বল্প সময়ে ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব অনেক সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। বহু বিশিষ্টজন আমাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তারেই প্রতিফল আজকের এই অনুষ্ঠান।

দুই দেশের গণমাধ্যম কর্মীদের সমন্বয়ে ইন্দো বাংলা প্রেসক্লাব। সব মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে কলকাতার ইন্দো বাংলা প্রেস ক্লাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
ভিএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।