কলকাতা: শেষ হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের তিন রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। ত্রিপুরায় ভোট হয়েছে ১৬ ফেব্রুয়ারি আর নাগাল্যান্ড ও মেঘালয় এই দুই রাজ্যে সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিধানসভা ভোট শেষ হয়েছে।
তবে ফলাফল প্রকাশের আগেই এ তিন রাজ্যের জয়-পরাজয় নিয়ে সমীক্ষার ফল প্রকাশ করছে ভারতের একাধিক সংস্থা।
অধিকাংশ সংস্থার সমীক্ষার ফল অনুযায়ী ত্রিপুরা এবং নাগাল্যান্ডে ফের ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপি।
অন্যদিকে, মেঘালয়ে হাড্ডাহাড্ডি ফল হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা। কারণ সেখানে বিরোধীরা পেতে পারে ভালো আসন। ভালো ফল করতে পারে মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস।
ভারতে জি নিউজ এবং মার্টিজ এর সমীক্ষা জানিয়েছে, ত্রিপুরার মোট ৬০ আসনের মধ্যে এনডিএ (বিজেপি জোট) পেতে পারে ২৯ থেকে ৩৬, এবার সেখানে বাম ও কংগ্রেস জোট করেছে। সেই জোট পেতে পারে ১৩-২১ আসন, মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস পেতে পারে ১১-১৬ আসর এবং অন্যান্য সর্বোচ্চ পেতে পারে ৩টি আসন।
নাগাল্যান্ডের ৬০টি আসনের মধ্যে এনডিএ (বিজেপি জোট) পেতে পারে ৩৫-৪৩ আসন। ন্যাশনাল পিপল পার্টি (এনপিপি) পেতে পারে ১ আসন, কংগ্রেস ১-৩ এবং অন্যান্যরা ৬-১১টি আসন। মেঘালয় ৬০ আসনের মধ্যে এনপিপি পেতে পারে ২১-২৬ আসন, বিজেপি ৬-১১, মমতার দল তৃণমূল কংগ্রেস ৮-১৩, রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস ৩-৬ এবং অন্যান্যরা ১০-১৯ টি আসন।
অপর একটি সংস্থা টাইমস নাউ এবং ইটিজি রিসার্চের সমীক্ষা অনুযায়ী, ত্রিপুরার মোট আসন ৬০ আসনের মধ্যে এনডিএ ২৪, এসডিএফ-২১ তৃণমূল কংগ্রেস ১৪ এবং অন্যান্য একটি আসন। নাগাল্যান্ড ৬০ এর মধ্যে এনডিএ ৪৪, এনপিএফ ৬, কংগ্রেস শূন্য, অন্যান্য ৯ আসন। মেঘালয়ের ক্ষেত্রে ৬০ আসনের মধ্যে এনপিপি ২২, বিজেপি ৫, কংগ্রেস-৩ অন্যান্য ২৯ আসন।
ইন্ডিয়া টুডে অ্যাক্সিস এবং মাই ইন্ডিয়ার সমীক্ষা জানিয়েছে, ত্রিপুরা রাজ্যটিতে এনডিএকে চাইছেন ২৭ শতাংশ মানুষ বামেদের পছন্দ ১৪ শতাংশ মানুষ। ন্যাগাল্যান্ড বিজেপি জোট পেতে পারে ৩৮-৪৮ আসন,এনপিএফ ৩-৮ আসন, কংগ্রেস ১-২ ও অন্যান্য ১৫ আসন।
এছাড়া মেঘালয় রাজ্যটিতে মমতার দল তৃণমূলকে চাইছেন ১৬ শতাংশ মানুষ। বিজেপিকে পছন্দ ১৪ শতাংশের কিছু বেশি।
কংগ্রেসকে পছন্দ ১৯ শতাংশ, অন্যান্যদের চাইছেন ১১ শতাংশ এবং ইউডিপিকে চাইছেন ১১ শতাংশ।
ত্রিপুরায়, নাগাল্যান্ড এবং মেঘালয় সরকার গঠনকারী দলকে যথাক্রমে পেতে হবে কমপক্ষে আসন। তবে সংশ্লিষ্ট দল রাজ্যটিতে ক্ষমতায় আসবে। সেক্ষেত্রে এই রাজ্যো ম্যাজিক ফিগার অর্থাৎ ৩১টি আসন না পেলে, একক ক্ষমতায় কোনো দল সরকার গঠন করতে পারবে না। তখন সরকার গঠন করতে অপর দলের বিধায়কের সাপোর্ট দরকার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ