কলকাতা: শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহ্যমণ্ডিত বসন্ত উৎসব এবারও হচ্ছে না। এতে ক্ষুব্ধ আশ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের একাংশ।
বসন্ত উৎসবের বদলে দোল পূর্ণিমার আগেই বসন্ত বন্দনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠানের সূচি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর শিক্ষার্থী, অধ্যাপক-অধ্যাপিকা এবং শিক্ষাকর্মীরাই শুধুমাত্র বসন্ত বন্দনায় অংশ নেবেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত সূচি অনুযায়ী, আগামী ২ মার্চ থেকে শুরু হবে বসন্ত বন্দনা। ওইদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়
লোক-সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বসন্ত বন্দনার সূচনা হবে। রাত ৯টায় বৈতালিক। পরদিন অর্থাৎ ৩ মার্চ ভোর ৫টায় গৌরপ্রাঙ্গণে বৈতালিক। সকাল ৭টায় শোভাযাত্রা ও অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা সাতটায় পরিবেশিত হবে নৃত্যনাট্য মায়ার খেলা। এরপর ৭ মার্চ অর্থাৎ দোলের দিন গৌরপ্রাঙ্গণে পূর্ণদাস বাউলের গান দিয়ে শেষ হবে বসন্ত বন্দনা।
বসন্ত উৎসবের বদলে বসন্ত বন্দনা! এতেই ক্ষুব্ধ বিশ্বভারতীর আশ্রমিক, শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপকদের একাংশ। কেন এবারও বসন্ত উৎসব পালন করা হবে না, তা নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এবং কেন বিশ্বভারতীতে পূর্ণদাস বাউলের গানের বন্দোবস্ত করা হলো- তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কারণ, রজত রায় উপাচার্য থাকাকালীন পূর্ণদাস বাউলের অনুষ্ঠান নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্কের পরেও কেনও ফের পূর্ণদাস বাউলকে দিয়ে অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে স্বাভাবিকভাবে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
২০১৯ সালে শেষবার বসন্ত উৎসব হয়েছিল বিশ্বভারতী প্রাঙ্গণে। তাতে অংশ নিয়েছিলেন শিক্ষার্থী থেকে সবাই। পাশাপাশি অংশ নিয়েছিল বহু পর্যটক। সেটাই ছিল শেষবার।
তারপরই করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে যায় সবকিছুই। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ২০২০-২১-২২ সাল অবদি শান্তিনিকেতনে বসন্ত উৎসব পালন করা হয়নি। এবারও একই সিদ্ধান্ত বহাল থাকলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
ভিএস/এসএ