কলকাতা: এই মুহূর্তে অ্যাডিনো ভাইরাস উপসর্গে আক্রান্ত পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার শিশু। মৃত্যু-হাহাকার-উদ্বেগে রাজ্যজুড়ে চরম আতঙ্ক।
অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় ইতিমধ্যে রাজ্যের প্রতিটি জেলার প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালসহ সবধরনের হাসপাতালে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু রোধ করা যাচ্ছে না অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত ১০ দিনে কলকাতার শিশু হাসপাতাল বিসি রায় শিশু হাসপাতালেই ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চলতি বছরে রাজ্যে এখনও পর্যন্ত অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫ হাজারের বেশি শিশু। করোনার পর ফের রাজ্যজুড়ে নয়া ত্রাস অ্যাডিনো ভাইরাস। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি। এইচ৩এন২ ভাইরাসের দাপট, ইতিমধ্যেই নজরদারি শুরু করেছে কেন্দ্র।
রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী সোমবার (৬ মার্চ) বলেছেন, স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের সমীক্ষা শুরু করছে। পাশাপাশি সাধরণদের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার বিষয়েও সচেতন করবে।
শ্বাসকষ্টে ভোগা শিশুদের মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। অ্যাডিনো ভাইরাসে মাত্রাছাড়া সংক্রমণ রাজ্য সরকারের উদ্বেগের একটা প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কলকাতা ছাড়া জেলাগুলো থেকেও অ্যাডিনো উপসর্গ নিয়ে শিশুভর্তির রিপোর্ট সামনে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২ মার্চ রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং ‘সংক্রমণের বিস্তার’ নিয়ে আতঙ্ক না ছড়ানোর আবেদন করেন।
এ সবের পরও ১০ দিনে রাজ্যে ৪৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনা সামনে এসেছে। সোমবার (৬ মার্চ) সকালেও মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর।
বেসরকারি সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস উপসর্গে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৫ শিশুর। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৩ জন। শিশুদের অ্যাডিনো উপসর্গ শনাক্ত করতে এবং সেই সঙ্গে অ্যাডিনো ভাইরাস সংক্রমণের দাপট রুখতে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ বাংলা জুড়ে ঘরে ঘরে সমীক্ষা চালানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২৩
ভিএস