কলকাতা (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত): নোবেলজয়ী বাঙালি অমর্ত্য সেনের জমি বিবাদ থেমেও থামছে না। বিশ্বভারতীর নোটিশ, চিঠি, পাল্টা চিঠি লেগেই আছে।
ওই জেলার সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, অমর্ত্য সেন একজন বাঙালি, শিক্ষিত, বুদ্ধিজীবী এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মানুষ। তার চিন্তাভাবনা বিজেপির বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে। তাই তাকে নানাভাবে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা তো হবেই। বিশ্বভারতী যেভাবে ওনার জমি কাড়তে তৎপর হয়ে উঠেছে তা জেনেও, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দূরে থাক, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেননি। এমনকি কেন্দ্রের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার স্বয়ং বীরভূম জেলার সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও কার্যত নীরব রয়েছেন। রাজ্যের বিজেপি নেতারাও বিষয়টিকে বিশ্বভারতীর অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছেন।
ব্রাত্য বসু বলেন, বাঙালি শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী এমন মানুষদের বিজেপি গ্রহণ করতে পারে না। আমার মনে হয় না বহিরাগত কোনো শক্তি তাদের এজেন্ট মারফত অমর্ত্য সেনকে হেনস্থা করবে, আর তা বাঙালি সহ্য করবে। এটা হতে পারে না।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অমর্ত্যের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র গেটের বাইরে উচ্ছেদ নোটিশ লাগিয়ে দিয়ে এসেছে। যা নিয়ে কম সমালোচনা হচ্ছে না। এই অবস্থায় তার অনুপস্থিতিতে শান্তিনিকেতনের বাড়ি ও জমি বেদখল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ। তারপরই বিদেশ থেকে অমর্ত্য সেন চিঠি দিয়েছেন। সেই চিঠির পাল্টা হিসেবে অমর্ত্য সেনকে বাড়তি জমি ফিরিয়ে দিতে ১৫ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে বিশ্বভারতী। তারপরই চারদিকে শোরগোল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ২৬ মার্চ, ২০২৩
ভিএস/এমএমজেড