কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একটি আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ১০ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (২৭ আগস্ট) সকালে জেলার বারাসাত লাগোয়া দত্তপুকুর থানার অন্তর্গত নীলগঞ্জ গ্রামের একটি কারখানা এই বিস্ফোরণ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১০ জনের বেশি বলে জানা গেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও আছে বলে জানা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের মতে, এখন অবধি দগ্ধ অবস্থায় ৭ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা গেছে। তবে মৃতের সংখ্যা ১২ জনের বেশি হতে পারে।
জানা যায়, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ভয়াবহ ছিল, যে কংক্রিটের বাড়িটি সম্পূর্ণ ধসে পড়েছে। কোথাও ৫০ মিটার, কোথাও আবার ১০০ মিটার দূরে ছিটকে পড়েছে দগ্ধ দেহ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে দমকল বাহিনী। এরপর ধ্বংসাবশেষ থেকে মৃতদেহ উদ্ধারে নামেন তারা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের সঙ্গে কাজে যোগ দিয়েছেন পুলিশ বাহিনীর সদস্যরাও।
স্থানীয়দের অভিযোগ, অবৈধভাবে চলছিল আতশবাজি কারখানাটি। বহুবার প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হয়নি। পুলিশ সদস্যদের সামনে পেয়েই এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন স্থানীয়রা।
এর আগে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ১৬ মে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরার খাদিকুল গ্রামের আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছিল। সে ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পাঁচ দিনের মাথায় অর্থাৎ ২১ মে কলকাতা সংলগ্ন বজবজের একটি বাড়িতে আতশবাজি বিস্ফোরণ ঘটে।
পুলিশের তথ্য মতে, ওই দুই এলাকায় অবৈধ আতশবাজির কারখানা চলত। মজুদ ছিল প্রচুর আতশবাজি।
পরপর দুই জায়গায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছিল প্রশাসন। রাজ্যজুড়ে অবৈধ বাজি কারখানা রোধ করতে শুরু হয় তল্লাশি।
কিন্তু এরইমধ্যে আজ ফের একইরকম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল। এতে রাজ্যবাসী বলছেন, প্রমাণ হলো কার্যত অবৈধ আতশবাজি কারখানা উচ্ছেদ কড়া হাতে দমন করতে পারেনি প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, ২৭ আগস্ট, ২০২৩
ভিএস/এসএএইচ