আগরতলা (ত্রিপুরা): ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেছেন, মানুষের মধ্যেই শিক্ষক সত্তা লুকিয়ে আছে, তাকে আরও কি করে উন্নত করা যায় তার জন্য রাজ্য সরকার কাজ করছে। ত্রিপুরার বর্তমান সরকার প্রতিটি ব্লকে একটি করে মডেল বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারতের ৬২তম শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজধানী আগরতলার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা, যুব ও ক্রীড়া দপ্তরমন্ত্রী টিঙ্কু রায়, আগরতলা পৌর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদারসহ শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা।
মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা. মানিক সাহা বলেন, মা হচ্ছেন সবচেয়ে বড় শিক্ষক, তাই আজকের দিনে মাকেও সম্মান জানানো উচিত। যাদের জ্ঞান রয়েছে তারাই সমাজে টিকে থাকবেন এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। এ বিষয়টি চিন্তা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশে নতুন শিক্ষানীতি চালু করেছেন। যার সুফল সারা দেশবাসী পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, মেয়েরা যাতে সহজে স্কুল-কলেজে যেতে পারে তার জন্য রাজ্য সরকার ইতোমধ্যে এক লাখের বেশি সাইকেল বিনামূল্যে ছাত্রীদের দেওয়া হয়েছে। আগামীতে আরও দেওয়া হবে। এ বছর বাজেটে সাইকেল বিতরণের জন্য আমারও এক কোটি রুপি বরাদ্দ হয়েছে। সেসঙ্গে উচ্চশিক্ষার সব ছাত্রীদের সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে স্কুটি দেওয়া হবে। রাজ্যেও অগ্নিবীর কর্মসূচি চালু করা হবে।
তিনি আরও বলেন, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কলেজে বিনামূল্যে ওয়াইফাই ব্যবস্থা চালু করার জন্য ১৫ কোটি রুপি খরচ হবে। রাজ্যে একাধিক কারিগরি এবং সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা দপ্তরের এ বছরের স্মরণিকা ‘শিক্ষা সমাচার’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন উপস্থিত অতিথিরা। এছাড়া শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত বিশিষ্ট শিক্ষক এবং শিক্ষাবিদদের সম্মাননা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এবার শিক্ষায় অবদান রাখায় বিদ্যাসাগর পুরস্কার পান ডা. কনক নারায়ন ভট্টাচার্য, মহারাজা বীর বিক্রম পুরস্কার পান মরোত্তর নগেন্দ্র চন্দ্র জমাতিয়া, মহারানী তুলসীবতী সম্মান পান সহিষ্ণু জমাতিয়া এবং এ বছরের ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী সম্মান পান ভীষ্ম গুপ্ত।
এছাড়া অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের মোট ২৪ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে শিক্ষক সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২৩
এসসিএন/আরআইএস