ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

দীপাবলিতে মেতে উঠেছে কলকাতাবাসী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
দীপাবলিতে মেতে উঠেছে কলকাতাবাসী

কলকাতা: দীপাবলির উৎসবে মেতে উঠেছে ভারতের সনাতন সম্প্রদায়। সামিল হয়েছে বঙ্গবাসী।

আলোয় সেজে উঠেছে কলকাতার পথঘাট, ঘরবাড়ি, পাড়া প্রতিবেশী।

রোববার (১২ নভেম্বর) ভারতে পালিত হচ্ছে দীপাবলি উৎসব। কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষে এই তিথিতে অবাঙালিরা যেমন লক্ষী-গণেশ পূজা করেন। সনাতন বাঙালিরা মেতে ওঠেন কালীপূজায়।

প্রসঙ্গত, ভারতের অবাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের একাংশের এইদিন থেকে বছর শুরু হয়। যেমন বাঙালিদের বছর শুরু হয় পহেলা বৈশাখ থেকে।

এই পূজাপার্বণে যুক্ত হয় দীপাবলি। মহাকাব্য রামায়ণ অনুসারে এই তিথিতেই ১৪ বছরের বনবাস জীবন শেষ করে শ্রীরাচন্দ্র অযোধ্যায় ফিরেছিলেন। সেই আনন্দে রাম রাজত্বে বাড়ি বাড়ি জ্বলে উঠেছিল দ্বীপ। সেই আলোর রোশনাইকে বলা হয় দীপাবলি, যা সনাতনীদের কাছে সমৃদ্ধির প্রতীক, উৎসবের প্রতীক।

এই দিনে কালীপূজায় মেতে ওঠেন বঙ্গবাসী। নিজের কালীঘাটের বাসভবনে কালীপূজা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজে ওঠে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরসহ কালীমন্দিরগুলো। অনেকেই বাড়িতে পূজার ব্যবস্থা করে থাকেন। মহল্লার ক্লাব বা সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেতে ওঠে বারোয়ারি পূজার মধ্য দিয়ে।

বারোয়ারি কালীপূজা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতে। বিভিন্ন থিম ভাবনায় পূজার আয়োজন করা হয়।

তবে দীপাবলির সবচেয়ে আকর্ষণ আতশবাজি এবং রঙ্গোলি (গুড়ো রং দিয়ে আল্পনা) এবং খাওয়া দাওয়া। তবে আতশবাজির ক্ষেত্রে ভারতে শব্দবাজিসহ কয়েক রকমের আতশবাজি নিষিদ্ধ।

সব মিলিয়ে পবিত্র দুর্গাপূজার পর সনাতন সম্প্রদায় দ্বিতীয় উৎসব হিসেবে দীপাবলি পালন করে থাকে। উৎসবে সামিল হন সব সম্প্রদায়ের মানুষ। আলোর রোশনাইয়ে ঘুচে যাক সবার অন্ধকার—এই প্রার্থনা থাকে সবার।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২৩
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।