ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনে ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ পালিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২৪
কলকাতায় ডেপুটি হাইকমিশনে ‘ফরেন সার্ভিস ডে’ পালিত

কলকাতা: বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য দলিল কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৭ এপ্রিল মেহেরপুর জেলার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারীদের অংশগ্রহণে বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথগ্রহণ করে।

দিনটি ইতিহাসের পাতায় ‘মুজিবনগর দিবস’ নামে পরিচিত।

ঠিক তার পরদিন ১৮ এপ্রিল কলকাতার পাকিস্তান দূতাবাসে পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন তৎকালীন হাইকমিশনার হোসেন আলি।

পাকিস্তান ডেপুটি হাইকমিশনের নেমপ্লেট সরিয়ে করা হয় বাংলাদেশ হাইকমিশন। মহম্মদ আলি জিন্না ও স্যার ইকবালের ছবি নামিয়ে রাখা হয় নজরুল ইসলাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। এর মাধ্যমে বর্তমানে ৯ নম্বর শেখ মুজিব সরণিতে অবস্থিত ভবনটি বাংলাদেশ হাইকমিশনে পরিণত হয়েছিল।

বর্তমানে দিনটি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ডে হিসেবে পালিত হয়। ফলে ঐতিহাসিক দিনটাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় স্মরণ করলেন কলকাতাস্থ বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা।

কর্মকর্তারা জাতীয় পতাকার চারদিক ধরে মিশন প্রদক্ষিণ করেন। পতাকার চার কোণায় ছিলেন প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন, প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) মো. শামসুল আরিফ, দ্বিতীয় সচিব (রাজনৈতিক) শেখ মারেফাত তারিকুল ইসলাম এবং মিনিস্টার (রাজনৈতিক) ও দূতালয় প্রধান সিকদার মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান এবং মাঝে পতাকা ধরে ছিলেন উপ-হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। তাঁদের সঙ্গে অংশ নেন কাউন্সেলর (শিক্ষা ও ক্রীড়া) রিয়াজুল ইসলাম, কাউন্সেলর (কনস্যুলার) এএসএম আলমাস হোসেন, দ্বিতীয় সচিব (কনস্যুলার) আমিনুল হক পলাশ এবং তৃতীয় সচিব মো. আব্দুস সোবহান মন্ডল। এরপর জাতীয় সঙ্গীতের সাথে যথাযথ মর্যাদায়  উপ-হইকমিশনার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন।

ডেপুটি হাইকমিশনার বলেন, দিনটি বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস ডে হিসেবেও পালন করা হয়। তৎকালীন ১৮ এপ্রিলের ইতিহাস আমাদের কাছে গর্বের। বহির্বিশ্বে এটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম মিশন। সে কারণে ঐতিহাসিক ভবনের সাথে আমাদের আলাদা আবেগ এবং অনুভূতি জড়িয়ে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা সৌভাগ্যবান যারা এই মিশনের দায়িত্ব পালন করছেন। সে কারণে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শিতায় যে সোনার বাংলা গঠনের স্বপ্নগুলো ছিল, সেগুলি বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, এপিল ১৮, ২০২৪
ভিএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।