ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

তাপদাহে পুড়ছে দিল্লি, দুদিনে হিটস্ট্রোকে পাঁচজনের মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫২ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
তাপদাহে পুড়ছে দিল্লি, দুদিনে হিটস্ট্রোকে পাঁচজনের মৃত্যু

কলকাতা: তাপদাহে পুড়ছে ভারতের দিল্লি। বিগত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা একটানা ৪৫ ডিগ্রির ওপরে।

বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাই নেই। এ পরিস্থিতিতে দিল্লিতে হিটস্ট্রোকে দুদিনে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ১২ জন হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, তারা সবাই লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।

দিল্লির মৌসম ভবন জানাচ্ছে, দেশটির রাজধানীতে গত ১২ বছরে গরমের তীব্রতা এমন দেখা যায়নি। এ চরম পরিস্থিতির মধ্যে রাজ্যটিতে চরম পানি সংকট দেখা দিয়েছে। দুই মিলিয়ে সাধারণ দিল্লিবাসীর প্রাণ এখন ওষ্ঠাগত। বিদ্যুতের চাহিদাও তুঙ্গে। ফলে লোডশেডিং বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

রাজধানীর একাধিক হাসপাতাল সূত্রে খবর, হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত দুদিনে যাদের মৃত্যু হয়েছে প্রত্যেকেই এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মাত্রাতিরিক্ত গরমের সঙ্গে বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দিল্লিবাসীর অবস্থা আরও কাহিল করছে।  

সোমবার (১৭ জুন) দিল্লি থেকে কলকাতাগামী একটি প্লেন তিন ঘণ্টার বেশি সময় দেরিতে ছাড়ে। কারণ হিসেবে জানা যায়, রানওয়ে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ায় প্লেন ছাড়তে দেরি হয়।

বুধবার (১৯ জুন) আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টির বিষয়ে দিল্লিবাসী এখনই কোনো স্বস্তির খবর পাবেন না। অন্তত আরও ২৪ ঘণ্টা একই রকমভাবে তাপপ্রবাহ চলার আভাস দেওয়া হয়েছে।

তবে ভারতে এবার গরম শুধু দিল্লিতে নয়, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং পাঞ্জাবেও লাল সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন।

সবচেয়ে অবাক করার বিষয়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচলের শৈলশহরগুলোরও গরম থেকে রেহাই নেই। মুসৌরি, দেরাদুন, নৈনিতালের মতো পার্বত্য এলাকাতেও তাপমাত্রা অনেক বেশি। হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি অঞ্চলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। একই জায়গায় রয়েছে জম্মু। সেখানকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে গেছে।

একই অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলোর। উত্তরে বর্ষা প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গের কোথাও এখনও বৃষ্টি নামেনি। বুধবার সকাল থেকে কলকাতার আকাশ মেঘলা থাকলেও গরমের তীব্রতা একরত্তিও কমেনি। সেই সঙ্গে অস্বস্তিকর ঘাম। কলকাতার হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করবে। তখন দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। তবে দক্ষিণবঙ্গে আগামী কয়েকদিনে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা কোথাও নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৯ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০২৪
ভিএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।