কলকাতা: ভারতের কাশ্মীর থেকে কলকাতাগামী জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেনে বোমা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ট্রেনের বগির মধ্যে পড়ে থাকা পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে দেশটির দক্ষিণেশ্বর রেলওয়ে স্টেশনে এমন চাঞ্চল্য ছড়ায়।
কোলকাতা স্টেশনে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস থামার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর আগেই দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার (১৯ জুন) স্থানীয় সময় ৪টার দিকে ট্রেনটি দক্ষিণেশ্বরে স্টেশনে পৌঁছালে থামানো হয়। প্রায় আধা ঘণ্টার বেশি সময় সেখানে থাকার পরে যাত্রীরা নেমে খোঁজখবর নিতেই রেলের তরফ থেকে জানানো হয়, স্লিপার কোচ (S-8) একটি পরিত্যক্ত কালো ব্যাগকে ঘিরে বোমা আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
ট্রেনে ভারতীয়দের পাশাপাশি বহু বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন। তারা সকাই কাশ্মীর ভ্রমণে গিয়েছিলেন। পরে আতঙ্ক ছড়ালে অনেক যাত্রী ট্রেন ছেড়ে মেট্রোরেলে করে কলকাতা চলে যান।
ঘটনা জানাজানি হলে মুহূর্তের মধ্যেই ওই ট্রেনটি খালি করে দেওয়া হয়। এরপর রেল পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারাসহ স্নিফার ডগ, বম্ব স্কোয়াডের লোকজন পৌঁছে তল্লাশি শুরু করে।
জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের গার্ড তাপস কুমার কুণ্ডু জানান, বুধবার (১৭ জুন) রাত ৮টা ৩০ মিনিটে জম্মু থেকে ছাড়ে ট্রেনটি। কলকাতা স্টেশন ঢোকার আগেই শীর্ষ কর্মকর্তারা জানান যে, ট্রেনের নির্দিষ্ট একটি কামরায় একটি লাল ব্যাগ আছে এবং তার ভেতর থেকে ঘড়ির টিকটিক আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। ট্রেনটি যেন আর সামনে না নেওয়া হয় এমন নির্দেশ আসে। সেই মোতাবেক তিনি দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে ট্রেনটি থামিয়ে দেন। এরপরই বোম আতঙ্ক ছড়ায়।
ওই বগির এক যাত্রীরা বলেন, ব্যাগটি আমিই প্রথমে লক্ষ্য করি। সেটির ভেতর থেকে ঘড়ির আওয়াজ শুনতে পাই। মুহূর্তে ভারতীয় রেলওয়ের ১৯৩ তে ডায়াল করি। তারপরই ট্রেন থামানো হয় এবং রেল পুলিশ আসে।
ট্রেনটিতে কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়া কিছু বাংলাদেশি ছিলেন। তারা জানান, ঘটনার বিষয়ে আমরা কিছুই জানতাম না। হঠাৎ দেখি দক্ষিণেশ্বর স্টেশনে প্রায় তিন ঘণ্টা ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে। পরে বাধ্য হয়ে নেমে গিয়ে মেট্রো ধরে পার্কস্ট্রিট যাবো বলে ঠিক করি।
এখন পর্যন্ত আশঙ্কাজনক কোনো ঘটনার খবর আসেনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সব যাত্রী নামিয়ে ট্রেনটি থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, কেউ হয়ত ভুল বশত ব্যাগটি ফেলে গেছেন। তার ভেতরে সম্ভবত মোবাইল ফোন আছে। আর সেই মোবাইল ফোনেরই শব্দ শুনা যাচ্ছিল।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২৪
ভিএস/এফআর