কলকাতা: বর্ষার প্রভাব বাড়তেই রাশি রাশি ইলিশ উঠতে শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের জালে। এর আগে বারেবারে হতাশ মন নিয়ে ফিরতে হয়েছিল মৎস্যজীবীদের।
সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের জালে ১২ টন ইলিশ উঠেছে। শুক্র এবং শনি(৩ আগস্ট) অর্থাৎ গত দুই দিনে কাকদ্বীপ, নামখানা, ফ্রেজারগঞ্জ, রায়দিঘি, পাথরপ্রতিমা ঘাটে পৌঁছেছে ১২ টন টাটকা ইলিশ। মৎস্যজীবীরা জানাচ্ছেন, সমুদ্র থেকে এবারে প্রায় ১০০ টন টাটকা ইলিশ উঠেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও ইলিশ ঘাটগুলিতে, আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মাইতি জানিয়েছেন, গত ২৯ জুন পর্যন্ত সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু গত তিনদিনে ১০০ টনের বেশি মাছ উঠেছে। হাসি ফুটেছে মৎস্যজীবী এবং ব্যবসায়ীদের মুখে।
তিনি জানিয়েছেন, যোগান বেশি হওয়ায় সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যেই থাকবে দাম। তবে ফের আবহাওয়া খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। মৎস্যজীবীদের এই খুশির দিনে আবার খারাপ আবহাওয়ার জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। যার জেরে গভীর সমুদ্র দিকে বেশিরভাগ ট্রলার বিভিন্ন ঘাটে ফিরে এসেছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর ফের পর্যাপ্ত ইলিশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন মৎস্যজীবীর সংগঠনের কর্মকর্তারা।
জানা যায়, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়য়ায় ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ। ওজনও নেহাত কম নয়, এবং সেসব ইলিশ সুস্বাদু হবে, এমনটাই বলছেন ব্যবসায়ীরা। শুক্রবার(২ আগস্ট) দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার নামখানায় পাইকারী বাজারে দেড় কিলো ওজনের ইলিশ নিলামে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের যোগান বাড়ায় দাম কমেছে বেশ কিছুটা। ওই জেলার ডায়মন্ড হারবারের পাইকারি নগেন্দ্র বাজার মাছের আরত ঘুরে ইলিশ পৌঁছে যাবে রাজ্যের বিভিন্ন খোলা বাজারে।
বঙ্গে চলতি বছরের ১৫ জুন থেকে শুরু হয়েছিল ইলিশ ধরার মৌসুম। বৃষ্টির ঘাটতির জন্য সমুদ্রে গিয়েও কার্যত খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল কয়েক হাজার মৎস্যজীবীকে। এরপর সমুদ্র উত্তাল থাকায় সরকারি নির্দেশনায় গত ১৫ দিন ধরে আরো এক বাধার মুখে পড়েন মৎস্যজীবীরা। সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠার পর সমুদ্রে ফের পাড়ি দেন মৎস্যজীবীরা। এরই মধ্যে বৃষ্টি শুরু হয় সাগরে। সঙ্গে পূবালী বাতাস। আর এই অনুকূল পরিবেশ তৈরি হওয়া পশ্চিমবঙ্গের মৎস্যজীবীদের জালে জড়াতে শুরু করেছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ০৩ আগস্ট ২০২৪
ভিএস/এমএম