কলকাতা: উত্তেজনা থেমে শান্ত দেশ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে পথে হাঁটছে বাংলাদেশ।
বিএসএফ সূত্রে জানা যায়, পেট্রাপোলে যাত্রীদের যাতায়াতের টার্মিনাল এবং মাল পরিবহণের টার্মিনাল ঘুরে দেখেন দলজিৎ সিং। বর্তমান পরিস্থিতিতে বাহিনীর সদস্যদের এই স্থলবন্দর পাহারায় কী কী সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে, সেসবও শোনেন দলজিৎ। একইভাবে উত্তর ২৪ পরগণার রানাঘাট সীমান্ত পরিদর্শনের পর বিএসএফ কর্তাদের সাথে বৈঠক করেন দলজিৎ।
বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, সীমান্তে নজরদারি বৃদ্ধিতে বারবার জোড় দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। এই আবহে সীমান্ত দিয়ে কোনও মতেই যাতে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান না ঘটে, সে দিকে নজর রাখতে বাহিনীকে জোড় দিতে বলা হয়েছে। যে কোনও ধরনের পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য বিএসএফকে প্রস্তুত থাকার কথা বলেছেন তিনি। বাহিনীকে বাড়তি সতর্ক থাকার কথাও বলেছেন।
বিএসএফ মনে করছে চলমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে অনুপ্রবেশ ও অন্যান্য গণ্ডগোলের আশঙ্কা রয়েছে। হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর তার দল তথা আওয়ামী লিগের সদস্য, সমর্থকরাও নানা উপায়ে সীমান্ত পার ভারতে প্রবেশ করতে পারে। এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ফলে বাড়তি সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মুলত, যে এলাকায় কাঁটাতার নেই, সেই অংশে বাড়তি নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। প্রতি মুহূর্তে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বিএসএফ এর সদস্যরা। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরে মেহদিপুর, হিলি, ফুলবাড়ি, চ্যাঙরাবান্ধায় বিশেষ নজর রয়েছে। এছাড়া গ্রামাঞ্চলে সীমান্তে বাহিনী নজরদারিও বাড়িয়েছে।
উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ২ হাজার ২১৭ কিমি জুড়ে। যারমধ্যে দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে সীমান্ত রয়েছে ৯১৩ দশমিক ৩২৪ কিমি এবং জলসীমান্ত রয়েছে ৩৬৩ দশমিক ৯৩০ কিমি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে স্থলসীমান্ত রয়েছে ৯৩৬ দশমিক ৭০৩ কিমি। দক্ষিণবঙ্গে প্রায় ৫৩৮ কিমি এবং উত্তরবঙ্গে ৩৭৫ কিমি অংশে কোনও কাঁটাতার নেই। অর্থাৎ ৯১৩ কিমি অংশ কাঁটাতার বিহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। ফলে বাড়তি সজাগ হয়েছে বিএসএফ।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, ০৬ আগস্ট ২০২৪
ভিএস/এমএম