চিঠিতে এই জনপ্রিয় গায়ক লিখেছেন, যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য রাস্তার দু’পাশের প্রায় চার হাজার গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করছেন।
বরিষ্ঠ এ গায়ক আরও লিখেছেন, একটি গাছ কাটা হলেও তিনি তার প্রতিবাদ করবেন। ‘শুনছি চার হাজার গাছ কাটা হচ্ছে। একটি গাছও যদি কাটা হয় আমি প্রতিবাদ করবো। কী বড় বড় গাছ যশোর রোডের দু'পাশে। কত বছর লেগেছে ঐ গাছগুলো অমন আকার পেতে। বনস্পতি। মহীরুহ। ওরা যে আমাদের বুক ভরে দেন অক্সিজেন। ওঁরা যে আমাদের গুরুজন- বন্যপ্রাণীদের মতো। ওরা যে আমাদের কী- স্নিগ্ধ ছায়া দেন। ওদের ঐ সবুজ রঙ! ওরা যে পৃথিবীর সব প্রাণীর সখা, সেবক, অভিভাবক, প্রেমিক। ’
চিঠির শেষে গায়কের আর্তি মুখ্যমন্ত্রীই পারেন এ গাছ কাটা বন্ধ করতে। তিনি যেন সেই ব্যবস্থা নেন। যশোর রোডের গাছ কাটা নিয়ে ইতোমধ্যে সরব হয়েছে ভারতে বিভিন্ন সংগঠন।
রাস্তা সম্প্রসারণ না হলে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে না বলে মনে করছেন এলাকার গাড়ি চালকরা। অন্যদিকে রাস্তা সম্প্রসারণ হলে বাণিজ্যও বাড়বে বলে মত আমদানি-রপ্তানিকারকদের।
এলাকার বেশ কিছু মানুষ ইতোমধ্যেই গাছ কাটা নিয়ে সরব। কাটা শুরু হলে এ প্রতিবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন প্রতিবাদী সংগঠনের সদস্যরা।
এই গাছগুলো শুধু ছায়াদানকারীই নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দুই বাংলার দীর্ঘ ইতিহাস। তাই গাছগুলো রক্ষার দাবি সবার।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৭
এসএস/এএ