শনিবার (১০ জুন) গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে জানানো হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতি অনাস্থা এবং দার্জিলিং ও সংলগ্ন এলাকা নিয়ে ‘গোর্খাল্যান্ড’ নামে আলাদা রাজ্যের দাবিতে এই হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী সোমবার (১২ জুন) থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য এ হরতাল পালিত হবে।
উল্লেখ্য, বামফ্রন্টের আমলে আলাদা রাজ্যের দাবিতে বার বার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এসব পাহাড়ি এলাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর কিছুদিন শান্ত থাকলেও সমসাময়িক সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
যদিও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে আলাদা রাজ্যের দাবি কোন ভাবেই মানা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সময়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দার্জিলিং সফরকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থকরা। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও নতুন করে হরতালের ডাক আবার পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
যদি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার তরফে বলা হয়েছে, দার্জিলিং এলাকার বিদ্যালয়, কলেজ ও হাসপাতাল হরতালের বাইরে থাকবে। সপ্তাহে চারদিন ব্যাংক খোলা থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে কোন সরকারি অফিস খোলা থাকবে না।
অন্যদিকে হরতাল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের তরফ থেকে এই হরতাল করতে দেওয়া হবে না বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। মনে করা হচ্ছে এর ফলে আবারও পুলিশ এবং গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে।
খবর পাওয়া গেছে দিল্লিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি আবাসন ‘বঙ্গ ভবন’ এ শনিবার বিকেলে বিক্ষোভ জানিয়েছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থকরা।
ইতোমধ্যেই দার্জিলিং থেকে বহু পর্যটক সমতলে নেমে এসেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যালয় এবং কলেজগুলোতে গরমের ছুটি চলার ফলে অনেকেই সেখানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। হরতাল ঘোষণা পর অনেকেই তাদের ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে সেটা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না কেউই।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৪ পিএম ঘণ্টা ১১ জুন ২০১৭
এএম/আরআই