ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতার নিউমার্কেটে ড্রাই ফুডের দোকানে ভিড় বেড়েছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
কলকাতার নিউমার্কেটে ড্রাই ফুডের দোকানে ভিড় বেড়েছে নিউমার্কেটে ড্রাই ফুডের দোকানে ক্রেতাদের ভিড়-ছবি-বাংলানিউজ

কলকাতা: পবিত্র রমজান উপলক্ষে কলকাতার নিউমার্কেটের ড্রাই ফুড এবং চকলেটের দোকানে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের সঙ্গে আছেন পাশের রাজ্য ত্রিপুরা, আসাম, বিহারের ক্রেতারা। সেইসঙ্গে নিউমার্কেট এখন ঠাসা বাংলাদেশি ক্রেতাতেও।

একপ্রকার গোটা নিউমার্কেটকে ‘ব্যাগ’-এ ভরতে ব্যস্ত তারা।

পোশাক ও অন্য জিনিসপত্রের সঙ্গে শুকনো ফল এবং চকলেটের দোকানগুলিতে ভিড় বেশি। ইফতারের জন্য শুকনো ফলের চাহিদা রমজান মাসে প্রতি বছরই বাড়ে। তাছাড়া উপহার হিসেবেও শুকনো ফলের যথেষ্ট কদর আছে। ক্রেতাদের মধ্যে চকলেটের চাহিদা অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি বলে জানান দোকানিরা। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের অন্য রাজ্য থেকে কলকাতায় এসমস্ত জিনিসের দামও তুলনামূলক কম।

যশোর জেল‍া থেকে কলকাতার নিউমার্কেটে গিয়েছেন রনি ইসলাম। মারকুইস স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেছেন সপরিবারে। তার কেনাকাটার তালিকায় পোশাকের পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর চকলেট এবং শুকনো ফল। বাংলাদেশে ফিরে এগুলির বেশিরভাগই উপহার দেবেন তিনি।  

নিউমার্কেটের ‘বম্বে ফুডস’-এ গিয়ে জানা গেছে, চকলেটের মধ্যে ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্ক, ক্যাডবেরি ফ্রুট নাটের চাহিদা সবথেকে বেশি। পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে বার্নভিল, আমুলের ডার্ক চকলেট, কিটক্যাট, নেসলে মাঞ্চ, ফাইভ স্টার, নেসলে অ্যালপিনো, বার ওয়ানের চকলেটও।

এছাড়া বেশ কিছু বিদেশি চকলেটের চাহিদাও রয়েছে। দোকানগুলিতে নানা ধরনের চকলেট দিয়ে সাজিয়ে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে ট্রে। এই ট্রেগুলি মূলত উপহার হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যস্ত দোকানি-ছবি-বাংলানিউজশুকনো ফলের মধ্যে খেজুর, পেস্তা, কাজু বাদাম ও আখরোটের চাহিদা সবথেকে বেশি। উপহার দেওয়ার জন্য শুকনো ফল কিনছেন অনেকে। দোকানে শুকনো ফলের সাজানো ট্রে আলাদা করে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের অভিযোগ দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে।

বিক্রেতা শাহ আলম জানান, ঈদকে সামনে রেখে চাহিদা বেশি, তাই তুলনামূলক দামও একটু বেশি। তবে পাইকারি বাজার বলে সর্বনিম্ন দামটাই র‍াখা হয়েছে।  

নিউমার্কেটে প্রতি কেজি কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ রুপিতে। কিসমিস পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৩০০ রুপিতে। আলমন্ড বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫০ রুপিতে। খেজুরের দাম প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ১ হাজার রুপি।

মশলার দোকানগুলিতে রয়েছে যথেষ্ট ভিড়। নিউমার্কেটে ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১ হাজার ৪শ’ থেকে ১ হাজার ৬শ’ রুপিতে। দার‍ুচিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৩৫০ রুপিতে, শ্রীলঙ্কার দার‍ুচিনি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ রুপিতে। কাঁচা আলুবকরা কেজি প্রতি ৫০০ রুপি এবং শুকনো আলুবকরা ৮০০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে।

আগামীতে এ চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন বিক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৭
ভিএস/আরআর
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।