মূলত রাজ্যের পর্যটন বিকাশেই এ অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন দপ্তর। মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা জানান, সরকারের হাতে অসংখ্য জলাশয় রয়েছে।
জায়গাগুলিতে থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের সুযোগসহ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পর্যটন উন্নয়ন নিগমকে। মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বলেন, প্রথম প্রজেক্ট হিসেবে সল্টলেকের নলবনে ফিশ ট্যুরিজম চালু হয়েছে। পরে হেনরি আইল্যান্ড, ফ্রেজারগঞ্জ, চন্দনপিড়ি, গুসকরা, মেমারি এবং দীঘায় ফিশ ট্যুরিজম চালুর পরিকল্পনা হয়েছে। ভবিষ্যতে রাজ্যের অন্যত্রও এ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
পরিকল্পনা অনুসারে, ফিশ ট্যুরিজম প্রকল্পে পর্যটকদের জন্য দুই রাত ও এক দিনের বিশেষ প্যাকেজ থাকছে। চারজনের একটি পরিবারের খরচ পড়বে গড়ে চার থেকে সাড়ে চার হাজার রুপি। আবার যাতায়াত নিয়েও ভাবতে হবে না পর্যটকদের। পর্যটন উন্নয়ন নিগমের উদ্যোগে এসি ভলভো বাসে নির্দিষ্ট স্থান থেকে সোজা গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যাবেন পর্যটকরা। বাসে মিলবে ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চ। খাবারের মেন্যুতেও থাকবে মাছের বিভিন্ন পদ।
পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছনোর পর ব্যাটারিচালিত গাড়িতে পর্যটকদের আশপাশের এলাকায় ঘোরানো হবে। যারা মাছ ধরতে চান তাদের নিয়ে যাওয়া হবে জলাশয়ের পাশে। মাছ ধরার জন্য পর্যটকদের হাতে ছিপও তুলে দেওয়া হবে। চাইলে নিজেরাই জাল নিয়ে জলাশয়ে নেমে পড়তে পারেন। জলে নেমে পর্যটকরা যাতে খালি হাতে না ফিরে আসেন, তার জন্য জলাশয়ে পর্যাপ্ত মাছ ছাড়া থাকবে। কার্যত ছিপে মাছ ওঠার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছেন মৎস্য উন্নয়ন নিগমের কর্তারা।
ছিপে অথবা জালে যে মাছ উঠবে, সেটা রান্না করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা থাকবে পর্যটকদের জন্য। আবার কেউ যদি মাছ বাড়িতে নিয়ে যেতে চান, সে ক্ষেত্রে বরফে মুড়ে মাছ প্যাকেট করে দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে।
সব মিলিয়ে নতুন এ উদ্যোগে বেশ সাড়া পড়বে বলেই ধারণা করছে মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০১৭
এএ