শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) কলকাতার পার্ক সার্কাস ময়দানে বেঙ্গল ন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিএনসিসিআই) আয়োজিত ৩০তম ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্ডিয়া ট্রেড ফেয়ার’ এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু।
মন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আমরা একশটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি।
তিনি বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটিয়ে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয় একটি যুগোপযোগী ও সমন্বিত জাতীয় শিল্পনীতি প্রণয়ন করেছে। ২০১৫ পরবর্তী উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জন অর্থাৎ, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে আমরা সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছি।
‘আমরা স্থিতিস্থাপক অকাঠামো, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই শিল্পায়ন এবং সৃজনশীল উদ্ভাবনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছি। ফলে দেশে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগ প্রক্রিয়া জোরদার হয়েছে। নতুন নতুন উদীয়মান শিল্পখাত আত্মপ্রকাশ করেছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধিতে শিল্পখাতের অবদান ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বর্তমানে শিল্পখাতে ১০.১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। জিডিপির আকার ২২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এ খাতে আমাদের রপ্তানি প্রবৃদ্ধি এশিয়ার দেশগুলোর গড় প্রবৃদ্ধি থেকে অনেক বেশি। ’
আমু তার বক্তব্যের শুরুতেই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত, বিশেষ করে কলকাতাবাসী যে অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলো সেই সুখস্মৃতি স্মরণ করে ভারতের তৎকালীন নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এই মেগা ট্রেড ফেয়ারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, কলকাতা মিউনিসিপাল করপোরেশনের মেয়র পরিষদের সদস্য দেবাশীষ কুমার ও ভারতে বুরুন্ডির রাষ্ট্রদূত স্টিলা বুদিরিঘানা।
মেলায় ভারত ছাড়াও বাংলাদেশ, ভুটান, থাইল্যান্ড, চীন, তুরস্ক, আফগানিস্তান ও ঘানা অংশ নেয়। ২২ ডিসেম্বর শুরু হয়ে মেলা চলবে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৭
ভিএস/এএ