অ্যালকোহল পেতে দম বেরিয়ে যাচ্ছে নির্মাতাদের। অনেক এলাকায় অ্যালকোহল না পাওয়ার কারণে বন্ধ হয়ে গেছে এই শিল্প।
পশ্চিমবঙ্গে কমবেশি প্রায় ২শ’ মতো ছোট-বড় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্মাতার সংস্থা আছে। অঙ্কের হিসাবে ব্যবসার আয় কমবেশি আড়াইশো কোটি রুপির মতো।
নির্মাতাদের অভিযোগ, এভাবে চললে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবসা রাজ্য থেকে গুটিয়ে উত্তর ভারতের দিকে পাড়ি দেবে। একেই জিএসটির (গুড সার্ভিস ট্যাক্স) কারণে অ্যালকোহলের বিক্রয় কর ২০ শতাংশ বেড়েছে।
এদিকে রাজ্যের আবগারি দফতরের কর্মকর্তাদের একাংশের অসহযোগিতায় চাহিদা মতো অ্যালকোহল কিনতে নির্মাতাদের ছাড়পত্র পেতে আঠারো মাসে বছর হচ্ছে। ফলে ওষুধের জন্য অ্যালকোহল সরবরাহ অনিয়মিত হয়ে পড়েছে। উত্তর ২৪পরগনার বহু জায়গায় এই অ্যালকোহলের অভাবে ওষুধ কোম্পানিগুলিতে উৎপাদন প্রায় বন্ধ হয়ে আসছে।
বেঙ্গল হোমিওপ্যাথিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক ড. এসি দেব বলেন, কী যে সমস্যায় পড়েছি, বলে বোঝাতে পারবো না। চাহিদা মতো অ্যালকোহল না পাওয়ায় বহু সংস্থায় কমবেশি ৬০ শতাংশ ওষুধ কম তৈরি হচ্ছে। আবগারি দফতরের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে তিনবার চিঠি দিয়েছি। উত্তর আসেনি। একই আভিযোগ আর এক নির্মাতা সুদীপ্ত গুহ’রও।
অন্যতম বড় হোমিওপ্যাথিক ওষুধ নির্মাতার কর্ণধার ডা. দুর্গা শঙ্কর ভড় বলেন, আমাদের বার্ষিক অ্যালকোহল কেনার কোটা বেশি। মজুত বেশি থাকায় এখনও ওষুধ তৈরি বন্ধ হয়নি। কিন্তু এভাবে চললে ব্যবসা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। অথচ রাজ্যে অ্যালকোহল মজুতদাররা বলছেন তাদের স্টকের অভাব নেই। কিন্তু নির্মাতাদের একাংশ পাচ্ছেন না।
একেই উত্তর ভারতে দিনদিন হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ব্যবসা বাড়ছে। এভাবে চললে পশ্চিমবাংলার আড়াইশো কোটি রুপির ব্যবসার ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এনিয়ে রাজ্যে সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৯
ভিএস/এএটি