এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (১৯ জানুয়ারি) ফেডারেল ফ্রন্ট শিরোনামে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রথম সমাবেশ ডাক দিয়েছেন মমতার মহাজোট।
নির্বাচনের আগে সমাবেশকে সফল করতে রাজপথে কর্মী-সমর্থকেরা পাশাপাশি ভিভিআইপিরাও মঞ্চে যোগ দিতে শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) রাতে কলকাতায় পৌঁছেছেন।
এরই মধ্যে কলকাতায় পৌঁছে গেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া, জম্বু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, উত্তর প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ সিং যাদব, ঝাড় খন্ডের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারাণ্ডি ও সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া অরুণাচলের সাতবারের মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং, অন্ধ্রপ্রদেশ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু অন্যান্য রাজ্যের ভিভিআইপিরা।
এছাড়া মমতার সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন ও একই মঞ্চে থাকবেন ডিএমকে পার্টির সভাপতি এমকে স্ট্যালিন, সদ্য বিজেপি ছেড়ে আসা সংসদ সদস্য তথা অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা, হার্দিক প্যাটেল, রাম জেঠমালিনি, কর্নাটকের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেজস্বি যাদব, জিগনেশ মোভানি, হেমান্ত সোরেন, শরদ যাদব, অরুণ শৌরিসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।
ইতোমধ্যে এ সমাবেশকে সমর্থন জানিয়েছেন ভারতের জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন নবান্নে পাঠানো এক চিঠিতে রাহুল লিখেছেন, ‘দিদির এ সমাবেশকে সমর্থন জানাই। বাংলার মাটি থেকে ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ে উঠুক। বাংলার মাটি ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী। সেই মাটি থেকেই সূচনা হোক ঐক্যবদ্ধ ভারতের। বর্তমানে মোদি সরকারের আমলে দেশে অসহিষ্ণুতা ছেয়ে গিয়েছে। তা থেকে দেশকে মুক্ত করতে হবে। দেশকে ঐক্যবদ্ধ রূপ দিতে হবে। মোদি সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে ক্ষুব্ধ ভারতবাসী মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছেন। তারা নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন। যেখানে সবার কণ্ঠস্বর সমান সম্মান পাবে। সববিরোধী দল একজোট। আমরা বিশ্বাস করি গণতন্ত্র সামাজিক ন্যায় ও ধর্মনিরপেক্ষতার ভিত্তিতেই প্রকৃত জাতীয়তাবাদ ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠা সম্ভব। যা মোদি এবং বিজেপির হাতে ধ্বংস হচ্ছে। ’
এখন দেখার পশ্চিমবঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তথা ফেডারেল ফ্রন্ট ক্ষমতায় এলে দেশের ভাবী প্রধানমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জনগণের উদ্দেশ্যে আগামীর পথ দেখাতে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে থেকে কী বার্তা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৯
ভিএস/ওএইচ/