বাঘ, সিংহ, হাতি, শিম্পাঞ্জি ছাড়াও আছে ১৩শ’ প্রজাতির প্রাণী। এই বৈচিত্র্যময় প্রাণীদের প্রতিদিনের ‘মেনু’ কি, কিভাবে তাদের খাবার পরিবেশন হয়?
কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বেশকিছু চমকপ্রদ তথ্য জানা গেছে।
কোন প্রাণী কি ধরনের খাবার খায় এই নিয়ে সমস্ত দর্শকদেরই একটা স্বাভাবিক কৌতূহল থাকে। তবে এই ‘ভোজন পর্ব’ চলে দর্শকদের চোখের আড়ালে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তব্যরত কর্মচারী জানান, ঠিক সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই তার স্বরে ডাকাডাকি শুরু হয়ে যায় ম্যাকাও পাখিদের খাঁচা থেকে। সেই সময়ই সকালের খাবার নিয়ে খাঁচায় ঢোকেন ‘অ্যানিম্যাল হ্যান্ডেলার’। মেনুতে থাকে নানা ধরনের তাজা ফল এবং চিনে ও কাঠ বাদামের মতো শুকনো ফল। খাবারের কথা উঠবে আর হাতির প্রসঙ্গ আসবে না তাই কি হতে পারে! জানা গেছে, প্রতিটি হাতি দিনে ১শ’ থেকে ১৩০ কেজি খাবার খায়। প্রতিটি জলহস্তী খায় ৫০ থেকে ৭০ কেজি খাবার। যার মধ্যে থাকে নানা রকম সবজি এবং ঘাস। এক একটি কুমির প্রতিদিন ৫ থেকে ৬ কেজি মাছ খায়। এদের খাবার দেওয়া হয় সপ্তাহে তিনদিন। বানরদের জন্য থাকে আপেল, কলা, শসাসহ রকমারি ফল।
এছাড়া আছে আটটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার অর্থাৎ বাংলার বাঘ। প্রতিটি রয়েল বেঙ্গল টাইগার প্রতিদিন প্রায় আট কেজি করে মাংস খায়। সিংহের খাবার পরিমাণও প্রায় একই রকম। দেওয়া হয় সন্ধক লবণ। প্রয়োজন মতো দেওয়া হয় নানা ধরনের ওষুধ। তবে সব প্রাণী কিন্তু ম্যাকাওদের মতো খাবারের জন্য ডাকাডাকি করে না। কোনো বন্যপশুকে চিড়িয়াখানায় আনা হলে তাকে প্রথমে চিড়িয়াখানার খাবারে অভ্যস্ত করে তুলতে হয়। যেটা বেশ কষ্ট সাধ্য বিষয়।
বহুদিন পশুদের নিয়ে কাজ করতে করতে তাদের সঙ্গে একটা মায়ার বাঁধন গড়ে ওঠে। অনেক সময় এমনও হয় একটি বিশেষ খাঁচার ‘হ্যান্ডেলার’ ছুটি নিলে ওই খাঁচার পশু খেতে চায় না। একটা ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়ে যায়, তবে সেটা অবশ্যই নিরাপদ দূরত্ব থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৯
ভিএস/আরবি