এই ‘টাউনে’ আছে একাধিক ছোট-বড় চাইনিজ রেস্তোরাঁ। তবে ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিট’ লোকের মুখে মুখে এখানকার চাইনিজ স্ট্রিট ফুডের জন্য অর্থাৎ মুখরোচক সব নাস্তার জন্য।
কলকাতার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৭৮০ সালের মাঝামাঝি সময় কলকাতায় যখন কিছু চীনা বসতি গড়ে ওঠে, তখন এই ‘চায়না টাউন’র গোড়াপত্তন। সেই ‘টাউন’ই আজ এই অঞ্চলে চীনা শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে রাখছে দারুণ ভূমিকা। ভোজনরসিকদের জিভে পৌঁছে দিচ্ছে চাইনিজ খাবারের স্বাদ।
কলকাতার এই অঞ্চলে ব্যস্ততা শুরু হয় প্রতিদিন ভোর প্রায় ৫টায়। রাস্তার ওপর ছোটছোট টুল বা বাক্স পেতে দোকানিরা সাজিয়ে নিয়ে বসেন তাদের খাবারের পসরা। কী থাকে না? টাটকা নুডুলস, কাঁকড়ার সুস্বাদু পদ, নানান ধরনের সুপ, বিভিন্ন ধরনের চপ। কোনোটা বেশ ঝাল আবার কোনোটা টক। ঝাল-মিষ্টির মিশ্র স্বাদেরও থাকে। থাকে চিংড়িরও নানা পদ। মম, শামুকের নানারকম পদও পাওয়া যায় এই দোকানগুলোয়। এছাড়া মুখ মিষ্টি করার আয়োজনও থাকে ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’।
খাবারে নামগুলো বেশিরভাগই চাইনিজ বলে বাঙালি মগজে সেসব ঠিকঠাক ধরে রাখাও কিঞ্চিৎ সমস্যার বৈকি। তাতে কী? খাবারের স্বাদতো আর কমছে না।
মজার ব্যাপার হলো, কলকাতার বাকি অংশের খাবার বেচাকেনার সঙ্গে চীনা খাবার দোকানগুলোর স্পষ্টত দু’টো পার্থক্য আছে। প্রথমত, ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিট’র খাবার তৈরি থেকে বিক্রি সব কিছুই করেন চীনারা। আর কলকাতার অন্যান্য অঞ্চলে এক্ষেত্রে রসুইঘরে চীনা কেউ থাকলেও পরিবেশনে বেশিরভাগ সময় স্থানীয়দেরই দেখা যায়। অন্য জায়গায় চীনা ‘ফাস্ট ফুড’ সাধারণত বিকেলে বিক্রি শুরু হলেও ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’ কেনাবেচা শেষই হয়ে যায় সকাল ১০টার মধ্যে।
তাই, কলকাতায় ঘুরতে এলে একটাবারের জন্য টেরিট্টি বাজার বা কলকাতার ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’ ঢুঁ মারতে যেন ভুল না হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
ভিএস/এইচএ/