ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’র খাবার-দাবার

ভাস্কর সরদার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’র খাবার-দাবার

কলকাতা: চীনা প্রজাতন্ত্রের জনক সান ইয়াৎ-সেন। তার নামে সড়কটি, ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিট’। এই সড়কটি কোথায়? কেউ কেউ হয়তো ভাবছেন চীনেই হবে। আদতে এই রাস্তা পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায়। মধ্য কলকাতার ট্যাংরা অঞ্চলের টিরিট্টি বাজারের এই রাস্তা দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কাছে বেশ পরিচিতি। এই রাস্তা ঘিরে থাকা গোটা অঞ্চলকেই তাই বলা হয় কলকাতার ‘চায়না টাউন’।

এই ‘টাউনে’ আছে একাধিক ছোট-বড় চাইনিজ রেস্তোরাঁ। তবে ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিট’ লোকের মুখে মুখে এখানকার চাইনিজ স্ট্রিট ফুডের জন্য অর্থাৎ মুখরোচক সব নাস্তার জন্য।

দোকান খোলার পর থেকেই, বিশেষ করে সকালেই এলাকাটা বেশ জমে ওঠে ভোজনরসিকদের ভিড়ে।

কলকাতার ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, ১৭৮০ সালের মাঝামাঝি সময় কলকাতায় যখন কিছু চীনা বসতি গড়ে ওঠে, তখন এই ‘চায়না টাউন’র গোড়াপত্তন। সেই ‘টাউন’ই আজ এই অঞ্চলে চীনা শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশে রাখছে দারুণ ভূমিকা। ভোজনরসিকদের জিভে পৌঁছে দিচ্ছে চাইনিজ খাবারের স্বাদ।

চাইনিজ নাস্তাকলকাতার এই অঞ্চলে ব্যস্ততা শুরু হয় প্রতিদিন ভোর প্রায় ৫টায়। রাস্তার ওপর ছোটছোট টুল বা বাক্স পেতে দোকানিরা সাজিয়ে নিয়ে বসেন তাদের খাবারের পসরা। কী থাকে না? টাটকা নুডুলস, কাঁকড়ার সুস্বাদু পদ, নানান ধরনের সুপ, বিভিন্ন ধরনের চপ। কোনোটা বেশ ঝাল আবার কোনোটা টক। ঝাল-মিষ্টির মিশ্র স্বাদেরও থাকে। থাকে চিংড়িরও নানা পদ। মম, শামুকের নানারকম পদও পাওয়া যায় এই দোকানগুলোয়। এছাড়া মুখ মিষ্টি করার আয়োজনও থাকে ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’।

খাবারে নামগুলো বেশিরভাগই চাইনিজ বলে বাঙালি মগজে সেসব ঠিকঠাক ধরে রাখাও কিঞ্চিৎ সমস্যার বৈকি। তাতে কী? খাবারের স্বাদতো আর কমছে না।  

সকাল ১০টার মধ্যেই শেষ হয়ে যায় সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটের দোকানগুলোর কেনাবেচামজার ব্যাপার হলো, কলকাতার বাকি অংশের খাবার বেচাকেনার সঙ্গে চীনা খাবার দোকানগুলোর স্পষ্টত দু’টো পার্থক্য আছে। প্রথমত, ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিট’র খাবার তৈরি থেকে বিক্রি সব কিছুই করেন চীনারা। আর কলকাতার অন্যান্য অঞ্চলে এক্ষেত্রে রসুইঘরে চীনা কেউ থাকলেও পরিবেশনে বেশিরভাগ সময় স্থানীয়দেরই দেখা যায়। অন্য জায়গায় চীনা ‘ফাস্ট ফুড’ সাধারণত বিকেলে বিক্রি শুরু হলেও ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’ কেনাবেচা শেষই হয়ে যায় সকাল ১০টার মধ্যে।

তাই, কলকাতায় ঘুরতে এলে একটাবারের জন্য টেরিট্টি বাজার বা কলকাতার ‘সান ইয়াৎ-সেন স্ট্রিটে’ ঢুঁ মারতে যেন ভুল না হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০১৯
ভিএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।