মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ধর্না প্রত্যাহারের কথা জানান তিনি। এর আগে সোমবার (০৪ ফেব্রুয়ারি) ঘোষণা দেন, তার এ অবস্থান চলবে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
তবে মঙ্গলবার ধর্না তুলে দেওয়ার কথা জানিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এই ধর্নায় গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এনিয়ে পরবর্তী কর্মসূচি হবে দিল্লিতে। আদালতের রায়ে আমাদের জয় হয়েছে। আদালত রাজীব কুমারের গ্রেফতারির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মমতা বলেন, ‘এই ধর্না ছিল গণতন্ত্রকে বাঁচানোর। সংবিধানকে রক্ষা করতে। এটা ছিল সেভ ইন্ডিয়া ধর্না। এখানে আমি কোনো সিদ্ধান্ত একা নেবো না। ইউনাইটেড ইন্ডিয়া ফ্রন্টের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো। '
এ সময় তার পাশে অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু এবং বিহারের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও ছিলেন।
তাদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তাদের সঙ্গে কথা বললাম। বাকিদের সঙ্গেও কথা বলি। সবাই বলছেন যে, সুপ্রিম কোর্টের রায় আমাদের নৈতিক জয়। তাই ধর্না এখানেই শেষ করা হোক। আমি ধর্না তুলে নিচ্ছি। আমরা এবার দিল্লিতে যাবো। সামনের সপ্তাহে সেখানে কর্মসূচি পালন করবো। ’
এর আগে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআইয়ের অভিযানের প্রতিবাদে রোবরার রাতে ধর্মতলার মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার ধর্না মঞ্চ থেকেই সরকারি কাজ করেন তিনি। বাজেট অধিবেশনের আগে ধর্না মঞ্চেই নিয়মমাফিক মন্ত্রিসভার বৈঠকও তিনি করেন।
পাশাপাশি ধর্না মঞ্চ থেকেই কৃষক সভার অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে বক্তব্য দেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমএ