পশ্চিমবঙ্গে দু’দিনব্যাপী পঞ্চম বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ছিল শেষদিন।
মমতা বলেন, এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ৩৬টি দেশ থেকে আসা অতিথি এবং ১২টি পার্টনার কান্ট্রি প্রতিনিধিদের আগমনে বোঝা যাচ্ছে -এটা বিশ্ববাংলায় বিশ্বজয়।
উপস্থিত শিল্পপতিদের সামনে গত সাতবছরে পশ্চিমবঙ্গের আমূল পরিবর্তনের বিষয় তুলে ধরে মমতা বলেন, রাজ্যে জমির অভাব নেই, মেধাবী শ্রমিক আছে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, শ্রমদিবস নষ্ট হয় না। তাই পশ্চিমবাংলায় বিনিয়োগ করুন। এসময় মমতার সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন মুকেশ আম্বানি, সজ্জন জিন্দাল, রাজেন মিত্তাল, সঞ্জীব গোয়েঙ্কার মতো ভারতের নামকরা শিল্পপতিরা। আরও ছিলেন দেশ-বিদেশ থেকে আসা প্রতিনিধিরা।
বিশ্বমানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মমতাময়ী আতিথেয়তায় বৃহস্পতিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়েছিল ‘বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট’। আর এ শিল্প সম্মেলন থেকে প্রায় ৪০ হাজার পাঁচশো কোটি রুপি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেল রাজ্য সরকার মমতা। বিনিয়োগের তালিকায় প্রধানদের মধ্যে উঠে এলো রিলায়েন্স, আইটিসি, কোকাকোলা, জেএসডব্লু -র মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানের নাম। শিল্পপতিরাও মুখ্যমন্ত্রীকে দিদি বলে সম্বোধনের পাশাপাশি তাদের বক্তব্যে বোঝালেন, বাংলা মানে ব্যবসা। বিনিয়োগের জন্য তারা এখন ভরসা করছেন পশ্চিমবঙ্গকে।
তবে অন্যান্য শিল্পপতিদের বক্তব্যের পাশাপাশি, মোদীর অতি ঘনিষ্ঠ মুকেশ আম্বানি কি বলেন? সেদিকেই নজর ছিল সবার। আম্বানি তার বক্তব্যে বলেন, গোটা ভারতে তাদের যে আর্থিক কর্মকাণ্ড রয়েছে, তার মধ্যে ১০ ভাগই আছে এই পশ্চিমবঙ্গে। পাশাপাশি রিলায়েন্স জিও -র হাত ধরে রাজ্যে আরও ১০ হাজার কোটি রুপির বিনিয়োগ করবেন বলে জানালেন তিনি।
তার আমলেই মোবাইল পরিসেবা তো বটেই, সঙ্গে ডাটা পরিসেবায় ভারতের ডিজিটাল মানচিত্রকে ওলটপালট করে দিয়েছে রিলায়েন্স জিও।
রিলায়েন্সের লক্ষ্য, এবছরের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ প্রতিটি মানুষের কাছে জিও সংযোগ পৌঁছে দেবে। এখানেই শেষ নয়, ডিজিটাল দুনিয়াকে আরও তীক্ষ্ণ ও দক্ষ করতে অপটিক্যাল ফাইবারে মুড়বে তারা গোটা রাজ্যকে। ডিজিটাল পরিসেবা পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গে ঘরে ঘরে। প্রতিটি ঘরই হবে জিও স্মার্ট হোম। শুধু প্রতিশ্রুতিই নয়। কীভাবে ডাটার মাধ্যমে তিনি পশ্চিমবঙ্গের আমূল পরিবর্তনের ছক কষছেন, তাও সহজ ভাষায় বিস্তারিত জানালেন।
তবে এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো শিল্পপতিকে দেখা গেল না সম্মেলনে। অবশ্য মমতার কণ্ঠে একবার ঘোষণায় শোনা গিয়েছিল ঢাকার মেয়র সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন। তবে তাকে মঞ্চে দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১৯
ভিএস/এসএইচ