অন্যান্য বারের মতো এবারেও শাসকদলের নিজস্ব পত্রিকার স্টল জাগোবাংলা ঘিরে মানুষের আগ্রহ ছিল। গ্রামবাংলার পটভূমিকায় গড়া ওই স্টল।
কলকাতা বইমেলায় এবারের থিম দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা। তাদের প্যাভিলিয়ন জুড়ে সে দেশের বিভিন্ন ছবি সাঁটা। মনোরম সেসব পটদৃশ্য মুগ্ধ করছে আগতদের। মণ্ডপের বাইরে ‘রাজা রামমোহন রায়ের মূর্তি’, তাকে ঘিরেও ছিল ভিড়। একটু মনোযোগ দিয়ে নজর করলেনই, বোঝা যায় এতো মূর্তি নয়, আসল মানুষ।
কোথাও দেড়শো রুপি নগদ দিলেই মিলবে যেকোনো তিনটি বই, কোথাও বিনামুল্যে বিলোচ্ছে ধার্মিক গ্রন্থমালা। কোথাও আবার বইয়ের পাতায় তুতু ভুতু -র কাণ্ডকারখানা ওল্টাতে ওল্টাতে শৈশবে ডুব দিচ্ছেন প্রবীন পাঠকরা। আবার মেঠো পথ দিয়ে হাঁক দিচ্ছেন ২০ রুপিতে নিজের লেখা ছড়ার বই কেনার জন্য এক বৃদ্ধ। বেশ লম্বা লাইন ছিল টাকা তোলার জন্য মেলায় রাখা এটিএমেও।
শুধুই কি লাখ টাকার বেচা-কেনা। সিসিটিভি ফাঁকি দিয়ে হচ্ছে চুরিও! কেউ ধরা পড়ছে কেউবা পড়ছেন না। তবে বই চুরি মানে তো বিদ্যা চুরি! জ্ঞান কি কখনো চুরি করা যায়! তাই যারা ধরা পড়ছে লিখে রাখা হচ্ছে নামধাম। ঘটা করে মেলার শেষদিন তাদের দেওয়া হবে উপহার। এটাই মেলা আয়োজক পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের নীতি। নিন্দুকের কাছে নিন্দনীয় হলেও জানা গেল অনেকেই আসেন উপহার নিতে।
অপরদিকে, এবছর শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হারিয়ে যাওয়া মোবাইলের কয়েকটি উদ্ধার করেছিল কলকাতা পুলিশ। সেইসব ভাগ্যবান মালিকদের বইমেলায় ডেকে, রীতিমতো উৎসব করে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হল মুঠোফোন।
মেলা প্রাঙ্গনে পথ চলতি পাঠক নাগালে পেয়ে গেলেন শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বা সমরেশ মজুমদারদেরও। তারাও দেদার বিলোলেন সই। পাঠকদের সঙ্গে তুললেন ছবি। সব মিলিয়ে এক উন্মাদনার তুফান উঠল এবারের মেলায়।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৯
ভিএস/এসঅইএস