ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

কলকাতায় জমজমাট বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
কলকাতায় জমজমাট বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব

কলকাতা: কলকাতায় জমজমাট বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। ২৩টি ঢাকাই ছবি নিয়ে এ উৎসবের আয়োজন হয়েছে। চলচ্চিত্রগুলো দেখতে কলকাতার রবীন্দ্রসদন প্রাঙ্গণের নন্দন ২, নন্দন ৩ এবং নজরুল তীর্থর ২ প্রেক্ষাগৃহে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়।

বাংলাদেশের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় কলকাতায় নিযুক্ত উপ-হাইকমিশন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এ উৎসবের আয়োজন করে।

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কলকাতায় ছিলো সাপ্তাহিক ছুটির দিন।

তাই ঢাকাই চলচ্চিত্র নিয়ে নগরবাসীর উৎসাহটাও ছিল বেশি। সঙ্গে বাড়তি পাওনা অবাধ-প্রবেশ। হাউসফুল চলেছে প্রতিটা শো। গতবারের মতো এবারও ‘গেরিলা’ দেখার বাড়তি আগ্রহটা ছিল চোখে পড়ার মতো। এ দেখে খোদ চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলে উঠলেন, ‘কিছু কিছু সিনেমা এপিক হয়ে যায়, এটা তারই প্রমাণ। ’

কেবল ‘গেরিলা’ নয়; ‘পোস্টমাস্টার ৭১’, ‘স্বপ্নজাল’, ‘দহন’, ‘রাজনীতি’, ‘হেডমাস্টার’র মতো একাধিক সিনেমাও বেশ আগ্রহভরে দেখছেন কলকাতার দর্শকরা। এরমধ্যে বাংলাদেশি নায়ক-নায়িকাদের একেবারে কাছে পেয়ে সেলফি তোলার হিড়িকও দেখা যায় দর্শকদের মধ্যে।

উৎসব আয়োজনে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন সব কলাকুশলীকে সম্মাননা জানায়  উত্তরীয় পরিয়ে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব রূপ নেয় অনন্য এক আয়োজনে। যা দেখে অভিনেত্রী তারিন বলেই উঠলেন, ‘এখানে না এলে ভাবতেই পারতাম না এতো মানুষ বাংলাদেশের সিনেমা দেখেতে এসেছেন। ’ অভিনেতা রিয়াজের কথায়, ‘এটাই বাংলার সংস্কৃতি। ’ যুথিকার মতে, ‘এ কারণেই কলকাতা আমার পছন্দের জায়গা। ’

চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পশ্চিমবঙ্গের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব এবং চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৯
ভিএস/জিপি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।