বারানসী কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী ভোট যাতে বিভাজিত না হয়। সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিরোধীরা।
কারণ ২০১৪ সালের ফলাফল অনুযায়ী, এই চারটি দলের মোট প্রাপ্ত ভোটের থেকেও নরেন্দ্র মোদী বেশি ভোট পেয়েছিলেন। সুতরাং এবারও এই চারদল এক হয়ে মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলেও মোদীর ভোট ব্যাংকে বিশেষ হেরফের হবে না বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
কিন্তু মজার বিষয় পূর্ব উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বে কংগ্রেস সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। আর এবারের নির্বাচনে বারানসীতেই প্রচার ক্যাম্প করবেন বলে স্থির করেছেন প্রিয়াঙ্কা। ফলে বোঝা-ই যাচ্ছে এখানে প্রিয়াঙ্কা ইমেজ ফ্যাক্টর একটা কাজ করতে চলেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৪ সালে মোদী হাওয়ার সময় এখানকার লোকসভা কেন্দ্রগুলোয় নির্বাচনে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফল করেছে কংগ্রেস। বহুজন সমাজ পার্টি, সমাজবাদী পার্টির ভোটের শতকরা হার ২০০৯ সালের তুলনায় বিপুলভাবে কমে গেলেও একমাত্র কংগ্রেসের ভোট ১৪ শতাংশ বেড়েছিল।
আর অরবিন্দ কেজরিওয়াল এককভাবে পেয়েছিলেন ২ লাখের বেশি ভোট। এবার তাই পুরানো সমীকরণ প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে বদলে যাওয়ার সমূহ আশা করছে কংগ্রেস।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আগমনে যদি কংগ্রেসের ভোটের জোয়ার আসে ও চারদল পূর্ব উত্তরপ্রদেশে জোট প্রার্থী দেয় তাহলে মোদীর যথেষ্ট চিন্তায় থাকতে বলে মনে করছে বিরোধীরা।
অন্যদিকে কংগ্রেস এবার স্থির করেছে সর্বত্র প্রার্থী দেবে না। সেই কারণে এবার উত্তরপ্রদেশের মধ্যে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের আসনগুলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এদিকে উত্তরপ্রদেশে গতবারের একঝাঁক জয়ী সংসদ সদস্যকে (এমপি) আর প্রার্থী করবে না বিজেপি।
কারণ ফিডব্যাক পাওয়া গিয়েছে ওই এমপিদের পুনরায় জয়ের সম্ভাবনা আর নেই। এই কারণে বিজেপি এবার নতুন মুখ দেয়া হবে। ফলে কিছুটা হলে জমি শক্ত হচ্ছে কংগ্রেসের, প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে। তবে উত্তর প্রদেশের ৮০টা কেন্দ্রের মধ্যে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ১৩টি আসনে চার দলের জোট করতেই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৯
ভিএস/এমএ