এ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখ রোববার (১৪ এপ্রিল) প্রথমে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের তৈরি মুখোশ ও রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ নানান প্রাণিসদৃশ সুসজ্জিত মুখোশ নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি দর্শকদের দৃষ্টি কড়ে।
বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি কলকাতার পার্ক সার্কাস অঞ্চল থেকে তথা বাংলাদেশ গ্রন্থাগার ও তথ্য কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট ক্রসিং পার হয়ে এ.জি.সি বোস রোড হয়ে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।
এ শোভাযাত্রায় উপ-দূতাবাসের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী, কলকাতায় সোনালী ব্যাংক লিমিটেড ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাসহ কলকাতার কবি, সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেয়।
পরে দূতাবাস প্রাঙ্গণে বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য ও আবহ রক্ষা করে মেলা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেলায় ছিল নাগরদোলা, বায়োস্কোপ, পালকি ও শিশুদের বিভিন্ন ধরনের খেলনার আয়োজন। এছাড়া খাবার-দাবারের মধ্যে ছিল হাওয়াই মিঠাই, বাতাসা, মোয়া-মুড়কি, বিভিন্ন প্রকারের পিঠা, ঝাল মুড়ি, পান্তা ও বিভিন্ন প্রকার ভর্তা, খিচুড়ি ইত্যাদি।
পাশাপাশি চলতে থাকে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, বিভিন্ন বিদেশি মিশনের কূটনীতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজনে অতিথিদের উদ্দেশে উপ-দূতাবাসের প্রধান তৌফিক হাসান বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও কলকাতার রাজপথে মঙ্গল শোভাযাত্রায় মানুষ অংশগ্রহণ করে যে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন, তাতে আমি ভীষণভাবে মুগ্ধ। বাংলাদেশের মতো ‘বাংলা নববর্ষ ১৪২৬’ এখানেও সুন্দরভাবে উদযাপিত হয়েছে। প্রতিবারই যেন এমনিভাবেই পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হয়, সে আশা করি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১৯
ভিএস/এইচএ/