দলের চাওয়ায় নিজের ভাই-বোনের বিরুদ্ধে প্রচারণায় নামতে কোনো সমস্যা নেই বলে বুধবার (১৭ এপ্রিল) জানিয়েছেন বরুণ নিজেই। একইসঙ্গে তিনি এটাও বলেছেন, যেদিন বিজেপি ছাড়বো, সেদিন রাজনীতি থেকেও অবসর নেবো।
বরুণকে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জল্পনা ছিল, তিনি বিজেপি ছেড়ে দিতে পারেন। যোগ দিতে পারেন কংগ্রেসে। আজকের এই বক্তব্য অবশেষে জল্পনার অবসান ঘটালো।
বরুণ স্পষ্ট বলেছেন, ১৫ বছর আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি এখনও বিজেপিকর্মী। আগামী দিনেও তাই থাকবো। আমি দলের আনুগত সৈনিক। দলের নির্দেশ মেনে চলাই আমার দায়িত্ব।
এর আগে দেশটির ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের সুলতানপুর থেকে বিজেপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বরুণ গান্ধী। এবার দল সেখানে তার মা মানেকা গান্ধীকে প্রার্থী করেছে। আর বরুণকে প্রার্থী করা হয়েছে মানেকার কেন্দ্র পিলভিট থেকে। বরুণ বলছেন, এ নিয়ে মা বা দলের সঙ্গে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। পিলভিটের সঙ্গে আমার ছোটবেলার সম্পর্ক। আমার বয়স যখন নয় বছর, তখন মা পিলভিট থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ফলে পিলভিটও আমার কাছে নতুন নয়।
২০১৭ সালে উত্তর প্রদেশে যোগী আদিত্যনাথের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে রাজনৈতিক চর্চার রসদ হয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর এই নাতি। এ নিয়ে তরুণ এই নেতা বলেন, সেসময় উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হতে না পারার আক্ষেপ আমার মধ্যে নেই।
এবার দল চাইলে ভাই-বোন অর্থাৎ কংগ্রেসের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রচারে নামার ঘোষণার পাশাপাশি পিলভিট কেন্দ্রে শেষ হাসি হাসার রণকৌশল নিয়েও মুখ খুলেছেন বরুণ।
তিনি বলেন, অখিলেশ যাদব ও মায়াবতীর (সপা ও বসপা পার্টি) জোট পিলভিটে কোনো প্রভাবই ফেলবে না। ওরা জাতপাতের কঠিন অংক নিয়ে চলছে। আমি ভোটের সহজ সমীকরণে বিশ্বাসী। আমার ভরসা সাধারণ মানুষ। গ্রামে গ্রামে ঘুরছি। বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছি। এতে ভালো সাড়া পাচ্ছি। আর বাড়তি পাওনা হিসেবে পাচ্ছি নরেন্দ্র মোদীর সামাজিক সংস্কার ও উন্নয়নের বহুমুখী প্রকল্পের বাস্তবায়ন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৯
একে/টিএ