এ সময় তারা সুভেনির ও দুই প্রেসক্লাব থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পাক্ষিক পত্রিকা একে অপরের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্রও বিনিময় করেন দুই সাংবাদিক নেতা।
সৌজন্য সাক্ষাৎকার হলেও দুই বাংলার প্রধান দুই প্রেসক্লাব কিভাবে পরিচালিত হয় তার খুঁটিনাটি বিষয়ে খোঁজ নেন স্নেহাশীষ শূর ও ফরিদা ইয়াসমিন।
আলোচনার কেন্দ্রে ছিল প্রেসক্লাবের পরিচালনা এবং কর্মপদ্ধতি। উঠে আসে প্রেসক্লাবের ক্যান্টিন, কর্মী, কর্মকর্তা এবং অনান্য কাজকর্মের খুঁটিনাটি বিষয়গুলিও।
বিশেষত জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন যখন ঢাকা প্রেসক্লাবের বিভিন্ন বিষয়বস্তু তুলে ধরেন রীতিমতো অবাক হয়ে শুনতে থাকেন কলকাতার সাংবাদিকরা। অপরদিকে কলকাতা প্রেসক্লাবের জমি ভারতীয় সেনাবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত। তাই সেখানে নিজেস্ব ক্যান্টিন চলাতে পারে না কলকাতা প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ। এমন তথ্য উঠে আসে তাদের সাক্ষাৎকারে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন যখন মাত্র ১৫ টাকায় প্রেসক্লাবের খাদ্য তালিকার বর্ণনা দেন তখন উপস্থিত কলকাতার সাংবাদিকরা অবাক হয়ে যান।
তারা বলেন, আমাদের ধারণার বাইরে যে ঢাকার প্রেসক্লাব এতটা উন্নত এবং এতটাই বিশাল আকারে ব্যাপ্তি লাভ করেছে। বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে উঠে আসে ঢাকা প্রেসক্লাবের পিকনিকের কথা। তাতে সাংবাদিকদের ব্যাপক অংশগ্রহণের বিষয়টি উপস্থিত কলকাতার সাংবাদিকদের অবাক করে। জানা যায় গত পিকনিকে প্রায় ৬০টি বাস ও ৫০টি ব্যক্তিগত গাড়িতে ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্যরা পিকনিক করতে গিয়েছিলেন। কলকাতার সাংবাদিকরা জানান তাদের পিকনিকে বাসের সংখ্যা ছিল তিনটি।
দুই প্রেসক্লাব কিভাবে আরও ভালো চলতে পারে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়। কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশীষ শূরকে ঢাকা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানান ফরিদা ইয়াসমিন।
প্রেসক্লাবের দুই প্রধান ছাড়াও এদিন উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মো. শফিকুল করিম ও কলকাতার বিশিষ্ট সাংবাদিকরা। ব্যস্ততার মধ্যেও আমন্ত্রণ রক্ষা করতে অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত হন দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৯
ভিএস/এমজেএফ