শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরে ঘণ্টায় ১৭৫-১৮৫ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ২০৫ কিলোমিটার বেগে এ ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ। আর শনিবার (০৪ মে) পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে এ প্রলয়ঙ্করী।
ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ ও অন্ধ্র প্রদেশের উত্তর উপকূলে এর প্রভাব পড়বে বলে জানা গেছে। এছাড়া বাংলাদেশেও এর ছোবল লাগতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল দীঘা, মন্দারমুনি সংলগ্ন সমুদ্র তীরসহ সুন্দরবন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এসব অঞ্চলে এর আগেও ঘূর্ণিঝড় ‘আয়লা’য় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল।
পশ্চিমবঙ্গে সদ্য শুরু হয়েছে মাছ ধরার মৌসুম। সাধারণত মে’র প্রথম দিক থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র তীর থেকে মাছ ধরার নৌকাগুলো গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়। কিন্তু প্রতিটি এলাকায় মৎসজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফণী’র জন্য বিশেষ সতর্কতা নিয়েছে। সব দফতরকে সতর্ক করার সঙ্গে আলাদাভাবে এই ঝড় মোকাবিলার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ওডিশার গঞ্জাম, গজপতি, খুরদা, পুরী এবং জগৎসিংপুর, পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ এবং উত্তর চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, এবং অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীকাকুলাম এবং বিজয়নগ্রামে ফণী বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে।
এরইমধ্যে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওডিশা, তামিলনাড়ু এবং পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেন্দ্র থেকে এক হাজার ৮৬ কোটি রুপি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আগাম বরাদ্দ করা হয়েছে।
এছাড়া ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ এবং হেলিকপ্টার প্রস্তুত রেখেছে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সাহায্যের জন্য।
ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীও প্রস্তুত আছে এ পরিস্থিতি মোকাবিলায়। পাশাপাশি ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স-৪১ টিমকেও প্রস্তুত রেখেছে ভারত সরকার। একইসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জন্য আলাদাভাবে প্রস্তুত রয়েছে আরও ১৩টিম এবং অন্ধ্র প্রদেশের রয়েছে ১০টিম।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৪ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
বিএস/টিএ