দিনটি উপলক্ষে সকাল থেকেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কলকাতার রবীন্দ্র সদন, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে। এ উপলক্ষে প্রভাত ফেরির আয়োজন করে কলকাতার বিভিন্ন সংগঠন।
সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠানটি চলছে কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সারাদিন ধরেই চলছে কবিগুরুর গান, কবিতা, নাটক। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, শিল্পী, নেতা-মন্ত্রীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ এ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সব্যসাচী রায় চৌধুরী বলেন, পশ্চিমবঙ্গসহ গোটা ভারতে মহা সমারোহে উদযাপিত হচ্ছে রবীন্দ্রনাথের জন্মবার্ষিকী। রবীন্দ্রভারতীতে সকাল থেকেই চলছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান।
কবিগুরুর ছবি নিয়ে একটি নতুন গ্যালারি দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সব্যসাচী রায় চৌধুরী বলেন, গত বছর ভারত সফরকালে জোড়াসাঁকোয় এসেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তিনি জানান, শান্তিনিকেতনে যেমন বাংলাদেশ ভবন তৈরি হয়েছে, তেমনি জোড়াসাঁকোতেও একটি গ্যালারি নির্মাণের ইচ্ছা রয়েছে তার। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কথামতো পরিকল্পনা শুরু হয়েছে, শিগগিরই তা প্রকাশ পাবে।
বাংলাদেশ-ভারতে রবীন্দ্রচর্চা প্রসঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর বলেন, শুধু ভারত ও বাংলাদেশে নয়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পৃথিবীর সব বাঙালির চেতনায় জড়িত।
জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জনপ্রিয় শিল্পীদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া, দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলছে কলকাতার রবীন্দ্র সদন ও শান্তিনিকেতনে। দিনটি উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০১৯
একে