অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে সাবধানে থাকার জন্য ইতোমধ্যে রাজ্যের আটটি জেলায় সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। জেলাগুলো হলো- পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান এবং মুর্শিদাবাদ।
এদিকে, তাপদাহের জন্য সতর্কতা জারি না হলেও কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি ও নদীয়া জেলাতে আরও কয়েকদিন অস্বস্তিকর গরম চলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
শুক্রবার (১০ মে) কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে চার ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অন্তত পাঁচ ডিগ্রি বেশি হলে আবহাওয়াগত বিচারে সেটিকে তাপপ্রবাহ বলা হয়। অর্থাৎ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁলেই সৃষ্টি হয় এই কঠিন পরিস্থিতির।
এই মাপকাঠিতে শুক্রবার বাকুড়া ও মুর্শিদাবাদে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রোববার (১২ মে) থেকে রাজ্যের দক্ষিণের জেলায় ঝড়বৃষ্টি হওয়ার মতো আবার প্রতিকূল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। যা এই গরমের মধ্যে আবার আশার কথাও। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এর মানে এই নয়, রোববারই শুধু ঝড়বৃষ্টি হবে। তার পরেও হতে পারে।
এর কারণ হিসেবে আবহাওয়া দফতরের অবসরপ্রাপ্ত ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মিহির গুহ জানিয়েছেন, ঝড়বৃষ্টি হওয়ার জন্য যে জলীয়বাষ্প প্রয়োজন, সেটা দখিনা বাতাসের কল্যাণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকছে। এখন দরকার কোনো নিম্নচাপ। এছাড়া রাজ্যে যে জলীয়বাষ্প ঢুকছে, তা পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের জেলার দিকে গিয়ে হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় ঝড়বৃষ্টির প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করছে। অর্থাৎ দার্জিলিং, কার্সিয়াং, কলিংপঙ ও জলপাইগুড় জেলায়।
অপরদিকে, ভারতের বিহার এবং ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও তাপপ্রবাহ চলছে। সেখান থেকে শুষ্ক গরম হাওয়া ঢুকে কলকাতাসহ রাজ্যের দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।
কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি না হলেও অতিরিক্ত গরমের দাপটে এই প্রথম পশ্চিমবঙ্গ সরকার সরকারি স্কুলগুলোতে দুই মাসের গ্রীষ্মের ছুটি ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৯
ভিএস/টিএ