শুক্রবার (১৭ মে) ‘লজ্জিত’ শিরোনামে একটি প্রতিবাদী কবিতা লিখেছেন তিনি।
নিয়মিতই কবিতা লেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা প্রতিবাদী কবিতাটি হলো-
লজ্জিত
ভাঙতে শিখেছ, গড়তে শেখনি
ভাঙাই তোমাদের কাজ
ভাঙতে গেলে থামতে হবে
ছিঃ ছিঃ নেইকো লাজ
হাত-পা ভাঙলে জোড়া লাগে
হৃদয় ভাঙলে জোড়ে না
মায়ের জীবন শেষ হলেও
মা কখনো হারায় না।
ঐতিহ্য নিয়ে খেলছো খেলা
বাংলাকে নিয়ে খেলো না,
সংস্কৃতির জাগরণ বাংলার মুক্তি
এত অবজ্ঞা কর না।
তোমাদের আছে অর্থের জোর
আর আমাদের প্রাণ-ভরা শ্রদ্ধা
বিদ্যার সাগর, আমি লজ্জিত
ক্ষমা চাওয়ার নেই স্পর্ধা!!!
এদিকে ১৯ মে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে একদিকে যেমন কবিতাকে বেছে নিয়েছেন, অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের আদেশে ভারতীয় সংবিধানের ৩২৪ ধারা প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচনের ৭২ঘণ্টা আগে অর্থাৎ ১৬ মে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই ঘটনার প্রতিবাদ করে ভোটের আগে কবিতার মাধ্যমে মূর্তি ভাঙার কথা সুকৌশলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে আরও একবার মনে করিয়ে দিলেন মমতা।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) কলকাতায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের রোড শো চলাকালীন তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে কলেজ স্ট্রিট এলাকার বিদ্যাসাগর কলেজে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়। কারা এ কাজ করেছেন তার সঠিক খোঁজ এখনও পায়নি পুলিশ। তবে দুষ্কৃতীরাই এ কাজ করেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
মূর্তি ভাঙার দায় বিজেপি দিচ্ছে তৃণমূলকে। আর তৃণমূল দিচ্ছে বিজেপিকে। এ ইস্যুতে থেমে নেই পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও। সবাই এ কাজের তীব্র সমালোচনা করছে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বইছে তুমুল প্রতিবাদের ঝড়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৯
ভিএস/এসএ/