অফিস, বাস, ট্রেন এমনকি বাজারে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে উৎসবমুখর আর মুখরোচক গল্প বা এ নিয়ে প্রবল তাত্ত্বিক আলোচনা। অনেকেই আবার বলছেন, এসব তর্ক-বিতর্ক না-কি নিজেদের মনকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখারই উপলক্ষ মাত্র।
কলকাতায় বৃষ্টির আগমন আপাতত নেই। তাই গরম যতো চড়ছে, বাজার দরও যেনো ততোটাই উত্তপ্ত হচ্ছে। দিন দশেক আগেও সবজির দর কমার সামান্য রুপালি রেখা দেখা গিয়েছিল। কিন্তু আবারও চড়তে শুরু করেছে বাজার দর। ফল-সবজির চোখ রাঙানিকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে আদা-রসুনের দর। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তাতে তাল মেলাতে শুরু করেছে কাঁচামরিচ। শুধু স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ।
শুক্রবার (৩১ মে) বাজারে মাছ, মাংস থেকে শুরু করে তরিতরকারি উপচে পড়েছে সর্বত্র। কিন্তু যারা রোজার সময়ে রোজ বাজার করেন, তারা বোঝেন, সপ্তাহের সাতদিনই ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে কলকাতার সবজির খুচরা দর।
বর্তমানে বাজারজুড়ে গ্রীষ্মকালীন সবজি প্রচুর। জোগান কম বলে দাম বেশি, অন্তত বাজার ঘুরলে এই তথ্য দাঁড় করানো কঠিন। দর দেখলে মনে হবে সবজির জোগানে ভাটা পড়েছে। পটলের কেজি ৫০ রুপি। একই হাল ঢ্যাঁড়সেরও। বাজারে ঝিঙের দরও ৫০ রুপির আশপাশে।
চেহারা ও রঙের তফাতে বেগুন ৪০ থেকে ৫০ রুপির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। এঁচোর বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ রুপিতে। বিনস বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ রুপিতে। এমনকি গাটি কচুর কেজি ১০০ রুপি। করলা ৬০। এছাড়া পেঁপে ৪০, কুমড়া ২৫, সজনে ডাঁটা ১২০ এর নিচে নেই। গাজরের ৬০, কাঁচকলার হালি ৬০ রুপি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে গরমে সবাইকে টেক্কা দিয়েছে আদা ও রসুন। দিন কয়েক আগে আদার দর ছিল ১০০ রুপি কেজি। তা বেড়ে ১২০ এ থেমেছিল। এখন তা এক ধাক্কায় ১৮০ তে উঠেছে। প্রায় একই অনুপাতে বেড়েছে রসুনের দর, কেজি ১৬০ রুপি। কাঁচামরিচও ১০০ রুপির নিচে বাজারে নেই। আবার রমজান যাচ্ছে ফলের দাম বৃদ্ধির ধারাবাহিকতা নিয়ে।
তবে স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজের দর, কেজি ১৫ থেকে ১৮ রুপি জায়গা বিশেষ বিক্রি হচ্ছে। তবে শপিংমলগুলোতে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ রুপিতে।
ঈদ চলে গেলে সবজিসহ পেঁয়াজের দাম নামবে বলে জানা গেছে। তখন আগের দর কেজি প্রতি ১২ রুপিতে মিলবে পেঁয়াজ। কারণ যাইই হোক না কেনো পেঁয়াজের দর বাদে সবজির বাজার ঊর্ধ্বমুখী। এমটাই অভিমত কলকাতাবাসীর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৯
ভিএস/টিএ