তবে সবচেয়ে বেশি ভর্ৎসনার শিকার হয়েছে বিহার। এনজিটি জানিয়েছে, বিহারে একটিও নিকাশি পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি।
এই জরিমানার নির্দেশ দিতে গিয়ে এনজিটি জানায়, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মানেনি পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং ঝাড়খণ্ড। এই রকমের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে রাজ্য সরকারের এমন অসংবেদনশীল মনোভাবে সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আগামী একমাসের মধ্যে জরিমানা বাবদ ওই তিন রাজ্যকে ২৫ লাখ রুপি করে দিতে হবে। এই জরিমানা গঙ্গাকে দূষিত করা এবং দূষণরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। যা পরে পরিবেশরক্ষার কাজেই ব্যবহৃত হবে।
এই তিন রাজ্যের পাশাপাশি আলাদা করে উত্তরপ্রদেশকেও সতর্ক করেছে এনজিটি। শিল্পক্ষেত্র থেকে নির্গত রাসায়নিক বর্জ্য গঙ্গায় যাতে কোনোভাবেই ফেলা না হয়, তা নিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
তবে ভারতের এই তিনরাজ্য ছাড়া আর কোনো রাজ্যে এই জরিমানা করা হয়নি। আর্থিক অংক কম হলেও এ ধরনের জরিমানা যথেষ্ট লজ্জাষ্কর বিষয়ে রাজ্যর পক্ষে।
এনজিটির সাবধান বাণী, রাজ্য প্রশাসনিক কর্তাদের এই ব্যর্থতা আদতে পরিবেশ আইনকেই লঙ্ঘন করেছে। এমনটা চলতে থাকলে পরিবেশের ক্ষতি তো হবেই, সেই সঙ্গে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে জনস্বাস্থ্যের উপরেও।
এনজিটির পক্ষ থেকে ১ জুন জরিমানার এই চিঠি পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০১৯
ভিএস/এমএ