ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত

মমতার আল্টিমেটাম, তবুও ধর্মঘটে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
মমতার আল্টিমেটাম, তবুও ধর্মঘটে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা আন্দোলনে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের একাংশ। ছবি: বাংলানিউজ

কলকাতা: চিকিৎসকের গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে কলকাতার এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রোগীর স্বজনেরা শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের মধ্যে বচসা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ হয়ে যাওয়া হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো ইতিবাচক ঘোষণা আসেনি।  

এ অবস্থায় চিকিসকদের কাজে যোগ দেবার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

অন্যথায় কড়া অবস্থান নেবে প্রশাসন।

কিন্তু এর প্রায় একদিন পেরিয়ে গেলেও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এরমধ্যে দুইজন রোগীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে; যারা বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন।

পড়ুন>>এ‌টিএম বুথে কয়েন দিলেই মেলে সুপেয় পা‌নি!

জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনের জেরে দ্বিধাবিভক্ত বক্তব্য দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ মানুষেরা। একদল মনে করছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে তাদের আন্দোলন যথার্থ।

অন্যদল মনে করছেন, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের আন্দোলন থেকে সরে এসে সরকারি হাসপাতেলের পরিষেবা অবিলম্বে চালু করা উচিৎ।

এনআরএস হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা বুধবার (১২ জুন) থেকে কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নেন। কলকাতার এন আর এস হাসপাতালের এই চিকিৎসকদের সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও কর্মবিরতিতে বসেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। এর ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রায় বন্ধ হয়ে দেশে রাজ্যের বেশির ভাগ হাসপাতালে।

যদিও বিভিন্ন হাসপাতালে সিনিয়র চিকিৎসকেরা চিকিৎসা পরিষেবা চালু রেখেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি তুলে নিতে বলা হয়। যদিও সেই বিজ্ঞপ্তি মানেননি শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা।

এনআরএস শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রশাসনের এই আহ্বানে সাড়া দিতে রাজি নন তারা। তাদের দাবি, হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়ানো দরকার।  

এ বিষয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে অভিযোগ জানাতে চান তারা। এদিকে রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু হওয়ার বিষয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছে কংগ্রেস। বিজেপি বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক কটাক্ষ করে রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১৯
এমএ/ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।