গত শনিবার (৬ জুলাই) ফিতা কেটে ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট লেখক সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতা আইসিসিআরের আঞ্চলিক পরিচালক গৌতম দে, কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) ড. মোফাকখারুল ইকবাল, কলকাতা রাশিয়ান বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার গৌতম ঘোষ, বিশিষ্ট চিত্রশিল্পী দেবব্রত চক্রবর্তী, অসীম কাপুর প্রমুখ।
সমরেশ মজুমদার ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন, একবার অংকের স্যারের ছবি এঁকেছিলাম, যা দেখে স্যার আমাকে শাস্তি দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, এত বড় সাহস, আমার ব্যঙ্গচিত্র আঁকিস! ব্যঙ্গচিত্র কী জিনিস, তখন জানতাম না। কারণ, আট বছর বয়সে সঠিক শিক্ষা নিয়ে ছবি আঁকতে শিখিনি। এখন মনে হয়, মানুষের ভেতরে আরেকটা মানুষ আছে। সে মানুষটারও আনন্দ হয়, রাগ হয়, দুঃখ হয়। শিল্পীরা যখন সে ভেতরে মানুষকে কাগজে-কলমে ফুটিয়ে তোলেন, তখন আমরা আরেকটা আবিষ্কার দেখতে পাই।
বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব ড. মোফাকখারুল ইকবাল বলেন, শিশুদের মানসিক বিকাশে চিত্রাঙ্কন কতটা সহায়ক, তা বলে বোঝানো যাবে না। এতে তাদের মননশীল চেতনারও পরিবর্তন ঘটে। এ ধরনের প্রতিযোগিতা একটা অঞ্চলের জন্য নয়, সারাবিশ্বের জন্য জরুরি। পাশাপাশি, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সংস্কৃতির বিকাশে এ ধরনের প্রতিযোগিতা যত বেশি হবে, তত ভালো।
প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া শিশু-কিশোরদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য বিখ্যাত চিত্রশিল্পী নন্দলাল ঘোষ, যামিনী রায়, জয়নাল আবেদীন, এসএম সুলতান পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
এ প্রদর্শনী চলবে আগামী ৮ জুন পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কলকাতা আইসিসিআরের নন্দলাল বোস গ্যালারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৭, ২০১৯
ভিএস/একে