বলা হয়, গোটা দেশে মোদী বিরোধী শিবিরের মধ্যমণি এখনও তিনি। তাও আজ অনেক কিছু তুলে ধরার তাগিদ রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
রোববার (২১ জুলাই) শহীদ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সমাবেশ। এ সমাবেশকে ঘিরেই সব প্রস্তুতি, জল্পনা।
এবারে ২৬তম শহীদ দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনসমাগমে রেকর্ড করতে মরিয়া রাজ্যের ক্ষমতাসীন দল। কারণ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ফল আশাব্যঞ্জক হয়নি। সবচেয়ে কম ভোট এসেছে রাজ্যের উত্তরবঙ্গের জেলাগুলো থেকে। সেসব জেলায় এখন বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হলেও আজকের ঐতিহাসিক সমাবেশে নেত্রীর বক্তব্য শুনতে সমর্থকদের ঢল নামবে বলে নেতা-কর্মীদের বিশ্বাস।
প্রতি বছর ২১ জুলাইয়ের সভা থেকে তৃণমূলের রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই রোববার সভায় মমতা কী বলবেন, তার দিকে তাকিয়ে আছেন জোড়াফুল শিবিরের সবাই। একদিকে লোকসভা নির্বাচনের ফলে বিপর্যয় অন্যদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোট। এছাড়া আগামী বছরই করপোরেশন ভোট। সবমিলিয়ে এবারের সভার গুরুত্ব অন্যবারের চেয়ে আলাদা।
এবারের সমাবেশে পরিষ্কার হয়ে যাবে রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে মমতার শক্তি কতটা ক্ষয় হলো। সমাবেশে নেত্রী মঞ্চে উঠবেন স্থানীয় সময় ১টায়।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই মমতার ডাকে কলকাতার রাজপথে নামেন কয়েক হাজার যুবকংগ্রেসকর্মী। এ সময় তাদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। এতে নিহত হন ১৩ যুবকংগ্রেস কর্মী। এ ঘটনার পর থেকেই প্রতিবছর দিনটিকে ‘শহিদ দিবস’ হিসেবে পালন করে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল তৈরি করেন এবং ২১ জুলাইকে ‘শহিদ দিবসে’র মর্যাদা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৯
ভিএস/এইচএডি