আগে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভিন্নভাবে বাঘের সংখ্যা ঘোষণা করা হতো। এবারে জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ (ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ারভেশন অথরিটি) কোটি কোটি টাকা খরচ করেছে।
মোদী বলেন, ভারতে বাঘের সংখ্যা বাড়ানোর যে নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছিল, তার চেয়ে কম সময়ের মধ্যেই লক্ষ্যে পৌঁছেছে ভারত। চার বছর বাকি থাকতেই নির্দ্দিষ্ট সংখ্যায় পৌঁছেছে। যা যেকোনো ভারতীয়ের কাছে গর্বের।
এরপর তিনি সংখ্যা তত্ত্ব দিয়ে বলেন, মধ্যপ্রদেশে এই মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাঘের বাস। রাজ্যটিতে মোট ৫২৬টি বাঘ রয়েছে। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে কর্ণাটক রাজ্য। বাঘের সংখ্যা ৫২৪টি। তালিকায় তৃতীয়স্থানে রয়েছে উত্তরাখণ্ড। সেখানে বাঘের সংখ্যা ৪৪২টি।
রিপোর্টে বলা রয়েছে, ছত্তিশগড় ও মিজোরাম রাজ্যে সবচেয়ে কম সংখ্যক বাঘ রয়েছে। তবে সুন্দরবনের সংখ্যাটা এখনও জানা যায়নি। রাজ্য বন দপ্তরের এক কর্তার কথা অনুযায়ী, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা আগের থেকে বাড়বে।
২০১৪ সালের বাঘশুমারিতে সুন্দরবনে ৭৬টি বাঘ আছে বলে জানা যায়। এছাড়া ওই সালে দেখা গিয়েছিল ভারতে সব থেকে বেশি বাঘের বাস ছিল কর্নাট রাজ্যে। ওই বছর বাঘের সংখ্যা ছিল ৪০৬টি। এছাড়া উত্তরাখণ্ডে ৩৪০টি এবং মধ্যপ্রদেশে ৩০৮টি বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল।
এছাড়া গোটা দেশে ২০১৫ সালে চোরা শিকারিদের কবলে পড়েছিল ১২টি বাঘ। ২০১৬-১৭ সালে তা বেড়ে সংখ্যা হয় যথাক্রমে ২১ এবং ২৭টি। ২০১৮ সালে চোরা শিকারের ঘটনা ঘটে ১৩টি। এছাড়া ৫১টি বাঘের অপমৃত্যু হয়েছিল।
এরপর চলতি বছরে বাঘের সংখ্যা বাড়াটা ইতিবাচক বলে মনে করছে ভারতের জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
ভিএস/এনটি