শনিবার (৩ আগস্ট) কলকাতায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, কলকাতা আমাদের অত্যন্ত বন্ধু প্রতিম দেশ।
মন্ত্রী বলেন, কলকাতায় এক সময় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব ছিল। কীভাবে কলকাতা সেটা মোকাবিলা করলো, সেই বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী হিসেবে আমি এবং আমার প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রণালয়ের সচিব, কলকাতা ডেপুটি হাইকমিশনারসহ আমরা দীর্ঘক্ষণ তাদের সঙ্গে ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এটা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে এবং আরও আন্তরিকতা বেড়েছে।
এ বিষয়ে কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম বলেন, বাংলাদেশ ও আমরা অত্যন্ত বন্ধু প্রতীম। বলা যায় আমরা একে অপরের আত্মীয়র সমান। আমরা যদি কিছু বিনিময় করতে পারি তাহলে আমরা নিজেদের ধন্য মনে করবো।
ঢাকা অনেকটাই এফেক্টেড হয়েছে ডেঙ্গুতে সে খবর আমরা পেয়েছি। ঢাকা প্রশাসনও ডেঙ্গু রোধে প্রাণপণ চেষ্টা করছে। যৌথভাবে কলকাতা এবং ঢাকা কিছু করতে পারলে তা ভালো হবে। কারণ দুই বাংলার আদ্রতা, বাতাস, আবহাওয়া, তাপমাত্রা সবই এক। তাই কলকাতা কীভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করলো। আমরা কীভাবে ডেঙ্গু নিয়ে কাজ করছি। সেসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেলে বাংলানিউজকে কলকাতা করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছিলেন, আগামী সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার সঙ্গে ডেঙ্গু নিয়ে একটি ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে মতবিনিময় করা কথা রয়েছে। সেখানে কলকাতার ডেঙ্গু রোধের বিষয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা হবে। তার মধ্যে কলকাতার মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলেন মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
ভিডিও কনফারেন্স উপস্থিত থাকবেন কলকাতা সিটি করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডক্টর মনিরুল ইসলাম, উপ-স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. সুব্রত রায় চৌধুরী ও চিফ ডিরেক্টর কন্ট্রোল অফিসার ড. দেবাশীষ বিশ্বাস।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০১৯
ভিএস/আরআইএস/