গত কয়েক বছর বাজারগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায় প্রথম দিকে অস্থায়ী হাটগুলোয় ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও শেষের দিকে বাজার দখল করে ফেলত। বাংলাদেশি যারা গরু ব্যবসায়ী তাদের লাভ মাঠেই মারা পড়তো।
সরকারি মহলে বিষয়টি নিয়ে নালিশও গেছে একাধিকবার। ফলে এনিয়ে দুই দেশের মধ্যে চাপানউতোর কম ছিল না। এই সময় কেন ঢোকে ভারতীয় গরু। অবশ্য শেষ দুই বছর চিত্রটা পাল্টেছে। বিশেষ করে গত বছর সেভাবে ভারতীয় গরুর দাপটই ছিল না। তাও লক্ষ্য করা গেছে।
তবে তথ্য বলছে অন্য কথা। কোনো এক সময় (সঠিক কোনো সালের রেকর্ডে পাওয়া যায়নি) ভারত থেকে সরকারি ও বেসরকারি অর্থাৎ বৈধভাবে গরু আসতো বাংলাদেশে। তবে তা চাহিদার থেকে অনেকাংশেই কম। যা কোনোভাবেই ঘাটতি মেটাতে পারতো না।
কিন্তু দীর্ঘ বছর ধরে সেই বৈধ পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এক সুত্র বলছে, গত দশ বছর ধরে অর্থাৎ ওই সময়টায় যে গরু সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করতো তা পুরোটাই অবৈধ পথে। সে যাই হোক, চোরাচালান বিষয়টা এতদিন চোখে পড়েনি। এর কারণ হিসাবে বলা হয়েছে ভারতে বিজেপি সরকারের আগে কংগ্রেস সরকার বিষয়টা এতোটা আমল দেয়নি। যেহেতু প্রতিবেশী রাষ্ট্রের গরুর চাহিদা আছে সেই জন্য বিষয়টা অবৈধ হলেও শিথিল রাখা হয়েছিল ভারতীয় সীমান্তে।
সরকার পরিবর্তন হতে অবৈধভাবে গরু পার হওয়ার বিষয়টায় নজরদারি বাড়ানো হয়। অনেকেই পারাপার করাতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে নিহত হয়েছেন। এমনকি বৃহস্পতিবারও (৮ অগাষ্ট) দুজন ভারতীয় নিহত হয় বিএসএফর গুলিতে। জব্দ করা হয়েছে ১৩টি গরু। ফলে বোঝাই যাচ্ছে বাড়তি নজর আছে সীমান্তগুলোয়। মূলত যেখান থেকে অবৈধভাবে গরু পারাপার হয়।
তবে ভারতীয় ভাগে মূল বিষয়টা সম্পূর্ণ ধর্মীয় নয়। জানা গেছে, বছরভর কোটি কোটি রুপির অবৈধ পথে গরু যাওয়ায় রাজস্ব পায় না সরকার। এছাড়া অন্যমত প্রধান বিষয় হলো গরু এবং মোষের প্যাকেটজাতীয় মাংস আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবন্ত গরু পাঠিয়ে যা লাভ তার থেকে অনেকাংশেই মুনাফা বেশি প্যাকেটকরণ মাংস রফতানি করে।
ফলে বিএসএফকে বাড়তি নজর দিতে বলা হয়েছে গরু পারাপারে। পাশাপাশি গত বছর থেকে বিজিবিও যথেষ্ট কড়া হয়েছে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ গরুসহ নানা কোরবানি পশুর প্রবেশ ঠেকাতে। এখন দেখার শেষ বেলায় কী হয় হাটগুলোয়?
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
ভিএস/এমআইএইচ/এমএমএস