শুক্রবার (০৯ আগস্ট) কলকাতার বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়।
২০১৮ সালে কলকাতায় কোরবানির তেমন আমেজ দেখা যায়নি।
স্থানীয় এক অস্থায়ী হাটের বিক্রেতা আফতাব আলম বাংলানিউজকে বলেন, এবার অস্থায়ী হাটগুলোও জমে উঠেছে। বেচাকেনায় কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না।
সাধারণত কোরবানির ঈদের শেষ দু’দিন আগেই জমে ওঠে কলকাতার অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। আর এই হাটগুলোর বিক্রেতাদের বেশিরভাগই আসেন কলকাতার বাইরে থেকে। এখানকার হাটে পশুর মধ্যে সাধারণত গরু, উট, দুম্বা ও ভালো জাতের খাসি থাকে।
ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে কলকাতায় একাধিক হাট বসে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অস্থায়ী পশুর হাটগুলো হলো- নাখোদা মসজিদ লাগোয়া জাকিরিয়া স্ট্রীট, রাজাবাজার, নারকেলডাঙা, খিদিরপুর, মেটিয়াব্রুজ ও গার্ডেন রিচের হাটগুলো। এছাড়াও ছোটখাটো আরও বেশ কিছু হাট বসে কলকাতায়।
এবারের হাটগুলোতে দেড় থেকে দুই মণ মাংস হবে এমন গরুর দাম ১৫ থেকে ২০ হাজার রুপি, সাড়ে তিন থেকে চার মণ মাংস হবে এমন গরুর দাম ৪০ থেকে ৪৫ হাজার রুপি। এছাড়া জোড়া ছাগল ২২ থেকে ৪০ হাজার রুপি। অন্যদিকে উট ও দুম্বার দাম এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার রুপির মতো।
এদিকে নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া গরু জবাই নিষিদ্ধ কলকাতাসহ গোটা ভারতেই। যা বরাবরই মেনে আসছেন দেশটির লোকজন।
অন্যদিকে টানা ছুটি এবার ঈদের আমেজকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। ১০, ১১ ও ১২ আগস্ট এ তিনদিন ছুটির পর ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। অর্থাৎ মাঝের দু’দিন বাদ দিলে একরকম টানা ছুটির মেজাজেই রয়েছে ভারতের লোকজন।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫১ ঘণ্টা, আগষ্ট ৯, ২০১৯
ভিএস/এসএ