আর ইঞ্জিনগুলো তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে (সিএলডব্লু)। গতি বাড়াতে ইঞ্জিনগুলোতে সফটওয়্যার ডিজাইনও বদল করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বিষয়টি ওয়েবসাইটে নিজেই জানিয়েছেন। তিনি জানান, ট্রেনের এরকম গতি বৃদ্ধি এর আগে কখনও হয়নি। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে পশ্চিমবঙ্গের চিত্তরঞ্জন লোকোমোটিভ ওয়ার্কসে এ ইঞ্জিন তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। ইঞ্জিনটি ২৪টি কোচকে একসঙ্গে টেনে নিয়ে যেতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ট্রেনের গতি কোনো অবস্থাতেই ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটারের কম হবে না। এই গতিও রাজধানী, দুরন্ত, শতাব্দী এক্সপ্রেসের বর্তমান গতির তুলনায় ঘণ্টায় প্রায় ২০ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেশি।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছোটার পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গে এই ইঞ্জিন তৈরির কাজ শুরু হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসে থেকে দফায় দফায় ট্রায়াল রানও দেওয়া হয়েছে। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার গতিতে ছোটানো হয় ইঞ্জিনটিকে। আর তাতেই সাফল্য মিলেছে।
তবে এই ইঞ্জিন কি শুধুই দেশটির তিনটি ট্রেন চালানোর কাজে লাগানো হবে, নাকি অন্য দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনের গতি বৃদ্ধিতেও ব্যবহার করা হবে বিষয়টি নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি রেলমন্ত্রণালয়।
তবে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আপাতত নিউ দিল্লি টু হাওড়া রুটে এই গতিতে ট্রেন চালানো হবে। একইসঙ্গে নিউ দিল্লি থেকে মুম্বাই রুটেও একইভাবে ট্রেনের গতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন ইঞ্জিনের চলাচলের জন্য আপাতত এই দু’টি রুটকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
ভিএস/এএ